রাজ্য সরকারের তোলা সব প্রশ্নের জবাব সিবিআই দিয়ে দিয়েছে গত ১৭ এপ্রিল। তার পরে দু’মাস কেটে গেলেও নন্দীগ্রামে গুলিচালনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি সিবিআই-কে দেয়নি রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের মামলায় বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী
সংস্থাটির তরফে এই তথ্য পেশ করা হল। যার ভিত্তিতে সরকারের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশ: দু’মাসের মধ্যেও এ বিষয়ে সিবিআই-কে কেন কিছু জানানো হল না, তা আজ, শুক্রবার আদালতে বলতে হবে। ওই অনুমতি দিতে তাদের কোনও আপত্তি রয়েছে কি না, রাজ্যকে আজ তা-ও ডিভিশন বেঞ্চে জানাতে হবে।
নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের এক জন, সুকুমার জানা কলকাতা হাইকোর্টে আলাদা মামলা করে জানতে চেয়েছিলেন, ওই ঘটনা সম্পর্কে সিবিআই-তদন্ত কতটা এগিয়েছে।
তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই-কে তদন্তের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। এ দিন সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট বেঞ্চে জমা পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তরফে রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ২০১২-র ৫ ডিসেম্বরে। রাজ্য এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে সিবিআইয়ের কাছে তার ব্যাখ্যা চায়। গত ১৭ এপ্রিল সিবিআই রাজ্যের কাছে সেই ব্যাখ্যা পেশ করেছে। তবে এখনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের
চার্জশিট দাখিলের সবুজ সঙ্কেত
দেওয়া হয়নি বলে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর কৌঁসুলি এ দিন আদালতকে অবহিত করেন।
ডিভিশন বেঞ্চ এর পরে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চায়। কিন্তু সরকারপক্ষের কৌঁসুলি সুব্রত তালুকদার এজলাসে হাজির না-থাকায় তা জানা যায়নি। সেই বক্তব্যই আজ পেশ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
২০০৭-এর ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে ভূমিরক্ষা কমিটির আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। তাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। হাইকোর্টের
নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তে বেশ ক’জন পুলিশ অফিসারের নাম উঠে আসে। তদন্ত শেষে তাঁদেরই বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। সিবিআই-সূত্রে বলা হয়, চার্জশিটে নাম তোলার অনুমতি পেলে তারা সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করবে।
|