বিলেতে দুই ব্যতিক্রমী এবং এক পরিচিত ছবি
ওঠবোসের পর এ বার থাপ্পড় মেরে হারানো ধোনিদের
কটা দল দু’বছর আগে এ দেশে তার ক্রিকেটীয় বস্ত্রহরণের প্রতিহিংসা নিতে চাইবে!
একটা দল আটত্রিশ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর তার প্রথম বিশ্বপর্যায়ের পঞ্চাশ ওভারের প্রতিযোগিতা জিততে চাইবে!
দল ভিন্ন। পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। টিম স্ট্র্যাটেজি ভিন্ন। প্লেয়ারদের গায়ের রং ভিন্ন। তবু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত আর অ্যালিস্টার কুকের ইংল্যান্ডের মধ্যে একটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। দু’টো টিমই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে গেল চোকারদের হারিয়ে!
আজ ইংল্যান্ডের কাগজেপত্রে দেখছিলাম গ্যারি কার্স্টেনের বিদায়ী সাংবাদিক সম্মেলনকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে ‘মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচিং অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করা মানুষটা স্বীকার করেছেন, “চোকার-ই তো। আর কী ভাবে আমার টিমকে ব্যাখ্যা করব?” কার্স্টেন তো তবু ওভালে নেমে খেলেননি। সোফিয়া গার্ডেনে সঙ্গকারা-জয়বর্ধনেরা তো নেমেও ৯০ বল বাকি থাকতে হেরে গেলেন। ওয়ান ডে ম্যাচে আট উইকেটে ভারত বহু বার জিতেছে। কিন্তু পনেরো ওভার বাকি থাকতে ইউরোপের মাঠে খেলা শেষ করে দেওয়ার নজির আর পাচ্ছি না। এজবাস্টনে পাকিস্তানকে টিম ধোনির হারানোর ধরনটা যদি ওঠবোস করিয়ে হয়! শ্রীলঙ্কার জন্য স্টাইল ছিল— থাপ্পড় মেরে হারানো!

ধবন। কার্ডিফে মারমুখী। ছবি: এএফপি
ঘোর বৃষ্টিতে খেলাই হবে না সকালে এমন দুর্যোগ। হাওয়া অফিসের অশুভ পূর্বাভাস সত্যি করে ভোররাত থেকে বৃষ্টি পড়েই চলেছে। স্কাই টিভিতে তখন মহিলা নিউজ অ্যাঙ্করকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে আজ তো লেডিজ ডে। এই দুর্যোগে কী করে পালন করবেন? মহিলা বললেন, “লেডিজ ডে বলে কথা। যত বৃষ্টি হোক, আজ হাইহিল পরার দিন। পরবই।” শ্রীলঙ্কা টিমের ফিল্ডিং দেখে মনে হল লেডিজ ডে তারাই উদযাপন করল। ক্রিকেটবুটে স্টাডের বদলে যেন হাইহিল পরে নেমেছিল। যে সব ক্যাচ ছাড়ল, সেগুলো ফেললে এই ধোনির ভারতকে হারানো সম্ভব নয়। শিখর ধবনকে স্লিপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ যখন ছাড়লেন দিল্লিওয়ালার রান মাত্র ১৮। অ্যাঞ্জেলো এত ভাল ব্যাট করেছেন কিন্তু এই বাজারে ধবন ছাড়ার মূল্য অনেক বেশি। এর পরে আরও দু’বার ধবনকে ফেলা হল।
বোলিংয়েও সেই মরণপণ প্রতিজ্ঞা কোথায় যা ওভালে সে দিন এই শ্রীলঙ্কাই দেখিয়েছে। মালিঙ্গার ভারতের বিরুদ্ধে রেকর্ড যতই খারাপ হোক, অন্তত কার্ডিফের সিমিং উইকেটে তাঁর ম্যাচ বার করে দেওয়া উচিত। অথচ তিনি দিলেন কিনা ৮ ওভারে ৫৪ রান। গোটা টিমটাই যেন অদ্ভুত নেতিয়ে রইল। বিরতিতে শ্রীলঙ্কান কোচের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত ছিল, ১৮৩ করেও যদি এ দেশে একটা টিম বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিতে পারে। ১৮১ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনালটাও জেতা সম্ভব।
ব্যাট করতে নেমে অনবদ্য লাগল ভারতীয় স্ট্র্যাটেজি। কোনও ঝুঁকি নয়। উইকেট খোয়ানো নয়। জাস্ট তিন রান গড়ে রেখে যাও। স্বাদগন্ধহীন যে পেশাদারিত্বে ভারত ম্যাচটা নিয়ে চলে গেল তাতে বাহার নেই। রূপ নেই। রং নেই। কাজের কাজ রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, ফিশ অ্যান্ড চিপস ক্রিকেট। অর্থাৎ লাঞ্চে পোলাও বিরিয়ানি খেলে না। কিন্তু যেটা খেলে পেটটা ভরে থাকল আর হাঁসফাঁসও করলে না!
বিপরীতে শ্রীলঙ্কা সেই মনোভাব আগাগোড়া দেখিয়ে দিল যা তাদের দু’বার বিশ্বকাপ জেতা থেকে শেষ ধাপে নিরস্ত করেছে। যা তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বারবার হারিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারিয়েছে। কখনও সঙ্গকারা। কখনও মাহেলা। কখনও অ্যাঞ্জেলো। নেতাই বদলেছে। নক আউট পর্বে শ্রীলঙ্কানদের চোকিং অক্ষত থেকে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা আর তারা এখন চোকিংয়ে যেন তুতো ভাই। রাম অউর শ্যাম!
কার্ডিফেও বৃষ্টিস্নাত ম্যাচটা যে পুরো পঞ্চাশ ওভার করা গেল, অসীম আশ্চর্য। মাঠটার জল-শোষণ ক্ষমতা যে কী সাঙ্ঘাতিক, খেলার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার বলছিলেন। অবশ্য কার্ডিফে তার চেয়েও স্তম্ভিত করা ব্যাপারস্যাপার ঘটে। তেলাপিয়া মাছ কখনও কাঁটা ছাড়া হয় শুনেছেন? গ্ল্যামরগান কাউন্টিতে কিন্তু দিব্যি কাঁটা ছাড়া তেলাপিয়া পাওয়া যায়। আর সাহেবরা খেতেটেতে এলে ভারতীয় রেস্তোরাঁয় গান বাজে, ‘সাধের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী’।

প্রেস বক্সে ২০ মিনিট ধরে সাষ্টাঙ্গে শায়িত শেন ওয়ার্ন।
বিশ্রাম না প্রতিবাদ— জল্পনা কার্ডিফে। ছবি: গৌতম ভট্টাচার্য
এই অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু মালিঙ্গার বিরুদ্ধে শিখর ধবন গার্ড নিয়ে দাঁড়ানোর পরপর অভাবিত এমন সব ঘটা শুরু হল, যা আর যা-ই হোক রুটিন নয়! মাঠের মেন গেটের বাইরে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ বিক্ষোভ আর তাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের লাঠিসোঁটা, ঘোড়সওয়ার পুলিশ শুরু হল, এ সব যে ঘটতে যাচ্ছে কারও কাছে খবরই ছিল না। ঘোর আশ্চর্য যে, শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে ওভালে বিক্ষোভ না দেখিয়ে শ্রীলঙ্কান তামিলদের একটা বড় দল ছ’টা গাড়ি বোঝাই করে লন্ডন থেকে উজিয়ে সোফিয়া গার্ডেনে হাজির হয়েছিল। লাল পতাকা আর হাতে লিফলেট নিয়ে পুলিশের তাড়ার মুখে তারা যে ভাবে পালাচ্ছে, প্রায় সে ভাবেই তখন প্যাভিলিয়নের ওপরের বক্সে মিডিয়া থেকে ছুটন্ত ভারতীয় বোর্ড কর্তারা। তিন জন সেখানে— তিন জনই বড় মাপের কর্তা! অরুণ জেটলি। রাজীব শুক্ল। নিরঞ্জন শাহ। ভারতীয় মিডিয়া যে দেখামাত্র তাঁদের একটাই প্রশ্ন করছে আইসিসি বৈঠকে ভারতের কে প্রতিনিধিত্ব করছেন? ধবন ঠিক মালিঙ্গার যে বিখ্যাত ইয়র্কারটা ইনিংসের শুরুতে চাইছেন না, বোর্ড ত্রয়ীও তেমন চাইছেন না গুড লেংথ থেকে অতর্কিত উঠে পড়া প্রশ্নটা।
প্রেসবক্সেও তখন নিঃশব্দ মহানাটক। প্রেস এনক্লোজারের ঘোরানো ধাপটা যেখানে শুরু সেখানে সরু একটা জায়গা আছে। ওখান দিয়েই সিটে পৌঁছতে হয়। সেই জায়গাটায় উপুড় হয়ে সাষ্টাঙ্গে শুয়ে রয়েছে স্যুট পরা প্রাণী। গরমের সময়ে অজ্ঞান হয়ে লোকে এ ভাবে কলকাতার রাস্তায়-টাস্তায় পড়ে থাকে। এখানে এ ভাবে শুয়ে কেন? টানা মিনিট কুড়ি এ ভাবেই পড়ে থাকা। কেউ ডাকতেও সাহস পাচ্ছে না। ছোট একটা কাগজের টুকরো তার সামনে কেউ লাগিয়ে রেখেছে ‘মেন অ্যাট ওয়ার্ক’। সেটা মানুষটা নিজেই লাগিয়েছে? না কেউ মজা করে লাগিয়ে দিয়েছে এর উত্তর না দিয়ে তত্ত্বাবধানে থাকা আইসিসি স্বেচ্ছাসেবক মুচকি হাসলেন। স্যুট পরা সাহেবের মুখটা তখন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে শেন ওয়ার্ন।
শেন ওয়ার্ন এ ভাবে পড়া কেন? কিছু কি হয়েছে তাঁর? মহিলা জানান, না উনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। শরীরটা ভাল নেই। একটু পরে কেউ অবশ্য গুজব ছড়াল, অস্ট্রেলীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ধরনধারনের বিরুদ্ধে এটা ওয়ার্নোচিত প্রতিবাদ! ঠিক যে উদ্দেশ্যে শ্রীলঙ্কান তামিলরা লাল পতাকা নিয়ে মাঠের ভেতরে একাধিক বার ঢুকে পড়ছিল, সে রকমই নাকি ওয়ার্নের নীরব বিবৃতি। পরে জানা গেল গুজব—গুজবই!

শ্রীলঙ্কা সরকারের ‘দমন-নীতি’-র প্রতিবাদ জানিয়ে কার্ডিফ মাঠে শ্রীলঙ্কার তামিল গোষ্ঠী। ছবি: এএফপি
কার্ডিফে ব্যতিক্রমী দিন লিখব? না কি বিরল? ভেবে উঠতে পারছি না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হঠাৎ কিপিং গ্লাভস খুলে বল করতে আসার মধ্যে ব্যতিক্রমী কিছু নেই। ধোনি দু’বছর আগে লর্ডস টেস্টেও এমনই গ্লাভস খুলে বল করতে ছুটেছিলেন। আজ যেমন দীনেশ কার্তিক কিপিং করলেন সেই সময়টা, লর্ডসে ষোলো ওভার করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সেটা দেখে কপিল দেব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন, “ভারতীয় ক্রিকেটের দিনকাল কি এতই খারাপ হয়ে পড়ল যে লর্ডসে ধোনি হাতে বল নিচ্ছে?” দেশে ফিরে না গিয়ে কার্ডিফে থাকলে হয়তো কপিল একই কথা বলতেন। বাকিদের ধোনির আজকের চার ওভার বোঝাল চূড়ান্ত সিমার সহায়ক পিচে টিমটা ভুল বাছা হয়েছে। ইরফানকে নিয়ে অনায়াসে অশ্বিনকে বসানো যেত।
সকাল থেকে বৃষ্টি। সেটা যাওয়ার পরেও স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। হাওয়া। পিচের আর্দ্রতা। না-শুকনো বাইশ গজ। সব মিলে এমন মঞ্চ যে, ইংল্যান্ডের পুরনো সিমারদের সামনে পড়লে আজও ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের আতঙ্কের ছবি ‘সামার অব ফর্টি টু’ ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় উইকেটে তখন এতটা করে বল সিম করছে যে, সঙ্গকারা-মাহেলার মতো ব্যাটিং প্রতিভারাও দিশেহারা হয়ে যাচ্ছেন। মনেই হচ্ছে না ওয়ান ডে ক্রিকেট বলে। মনে হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টা। ব্যাটসম্যানের ব্যাটে যত না লাগছে তার চেয়ে বেশি অফস্টাম্পের বাইরে লাগছে না। প্রথম ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-র ৬০ বলের মধ্যে ৪৯ ডট বল খেলল শ্রীলঙ্কা। ওয়ান ডে-তে ভাবাই যায় না। কিন্তু বিষ্যুদবার এমন সারফেসে প্রথম ব্যাট করা টিম খেলছে যেখানে টস হারা মানে দ্রুত পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়ে ডার্বি ম্যাচ খেলা। কার্ডিফ প্রেসবক্সে তখন ইন্টারনেট চলছে মন্থরতম হয়ে। আর তার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার রান ওঠার গতি। তাদের একটা নেইমারও নেই যে প্রচলিত হিসেব বদল দিতে পারে।
ভুবনেশ কুমার রোজ ভাল বল করছেন। এ দিনও টানা নয় ওভার ধোনি তাঁকে আক্রমণে রেখে দিলেন। টানা ন’ওভার পেস বোলার এক দিক থেকে করেই যাচ্ছে, সচরাচর হয় না। কিন্তু তার চেয়েও বিরল কিছু তখন অন্য প্রান্তে ঘটছে। প্রথম পরিবর্ত বোলার ইশান্ত শর্মা সমর্থকদের হৃদয়ের ওপর একেবারেই অত্যাচার করছেন না। ইশান্ত কি বেশি খরচে হয়ে যাচ্ছেন না? বারবার মিডিয়া জিজ্ঞেস করছিল ভারত অধিনায়ককে তাঁর সব ক’টা সাংবাদিক সম্মেলনে। অন্তত এই গ্রীষ্মে প্রশ্নটা আর শোনা যাবে না।

আবার সেই সংহারমূর্তি। জয়বর্ধনেকে
ফিরিয়ে জাডেজা। ছবি: রয়টার্স

আবার সহজ জয়। ফাইনালে উঠে
কোহলি-রায়না। ছবি: পিটিআই
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ আর মাহেলা ৭৮ রান জুড়লেন ঠিকই। কিন্তু তার আগেই তো শ্রীলঙ্কা ইনিংস হুইলচেয়ারে বসে গিয়েছে! ধোনির জেন এক্স টিমে উল্লেখযোগ্য বদল হল, টিমের ভাল ফিল্ডারের সংখ্যা বাড়ায় তিনি সুরেশ রায়নাকে আউটফিল্ড থেকে ক্লোজ ইনে আনতে পেরেছেন। বুড়ো ফিল্ডারে ভরা পুরনো ওয়ান ডে টিমে রায়নাকে তিরিশ গজি বৃত্তের ভেতর সিঙ্গলস বাঁচাতে হত। সেকেন্ড স্লিপে যে দু’টো ক্যাচ ইশান্তের বলে রায়না লুফলেন, ওখানে সহবাগ নামের কেউ থাকলে সেটা কী হত আন্দাজ করা এতটুকু কঠিন নয়।
বার্মিংহ্যামে রোববার যে-ই জিতুক, ফাইনালিস্টদের টিমলিস্ট একটা ধ্রুব সত্য নতুন করে ভাসিয়ে দিয়েছে। ওয়ান ডে-টা তরুণদের খেলা। এখানে তরুণদেরই মানায় তা তোমার নাম সচিন হোক! কী সহবাগ! ধোনিদের তারুণ্যের জোয়ার আঠাশ বছর পর ভারতকে অপরাজেয় রেখে ফাইনালে তুলে দিল। অস্ট্রেলিয়ায় বেনসন হেজেস কাপেও ভারত অপরাজেয় থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সে বার। খেলার দু’ঘণ্টা বাদে এখন দেখছি, জনহীন কার্ডিফ মাঠের ওপর দিয়ে সাদা সব পাখি উড়ছে। যেমন ওড়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মাঠে। জিজ্ঞেস করে জানলাম, এগুলো সি-গাল। মাঠের পাশে সমুদ্র নেই। কিন্তু সি-গালদের ঝাঁকটা যে ভাবে মাঠের ওপর জাঁকিয়ে বসেছে, সেই শ্বেতশুভ্র ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে বার্মিংহ্যামে রোববার যে ট্রফিটা তুলে দেওয়া হবে, তার রংও কি সাদা?

শ্রীলঙ্কা
পেরিরা ক রায়না বো ভুবনেশ্বর ৪
দিলশান নঃআঃ ১৮
সঙ্গকারা ক রায়না বো ইশান্ত ১৭
থিরিমান্নে ক রায়না বো ইশান্ত ৭
জয়বর্ধনে বো জাডেজা ৩৮
ম্যাথেউজ ক ভুবনেশ্বর বো অশ্বিন ৫১
মেন্ডিস স্টাঃ ধোনি বো অশ্বিন ২৫
থিসারা ক ধবন বো ইশান্ত ০
কুলশেখরা বো অশ্বিন ১
মালিঙ্গা নঃআঃ ৭
অতিরিক্ত ১৩
মোট ৫০ ওভারে ১৮১-৮।
পতন: ৬, ১৭* (দিলশান আহত ও অবসৃত)
৩৬, ৪১, ১১৯, ১৫৮, ১৬০, ১৬৪, ১৭১।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ৯-২-১৮-১, উমেশ ৮-২-৩০-০, ইশান্ত ৯-১-৩৩-৩,
জাডেজা ১০-১-৩৩-১, ধোনি ৪-০-১৭-০, অশ্বিন ১০-১-৪৮-৩।

ভারত
রোহিত বো ম্যাথেউজ ৩৩
শিখর স্টাঃ সঙ্গকারা বো মেন্ডিস ৬৮
কোহলি নঃআঃ ৫৮
রায়না নঃআঃ ৭
অতিরিক্ত ১৬
মোট ৩৫ ওভারে ১৮২-২।
পতন: ৭৭, ১৪২।
বোলিং: কুলশেখরা ১০-০-৪৫-০, মালিঙ্গা ৮-০-৫৪-০, থিসারা ৬-০-২৫-০,
ম্যাথেউজ ৪-০-১০-১, হেরাথ ৪-০-১৪-০, মেন্ডিস ৩-০-২৮-১।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.