মহিলাকে ধর্ষণ, যুবকের কারাদণ্ড |
আদিবাসী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার দায়ে এক যুবককে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “১৯৯৯ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে বোলপুর থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় দুই আদিবাসী মহিলা। বোলপুর থানার মউলিপাড়া বাসস্টপে ওই দুই মহিলা নামার পরে স্থানীয় মহিষঢালের দুই যুবক বিজলি কিস্কু ও মদন মুর্মু ওঁদের পিছু নেয়। পথে একটি নির্জন জায়গায় দুই মহিলাকে তারা ধর্ষণ করে। ওই বছর ৯ অক্টোবর বোলপুর থানায় বিজলি ও মদনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই দুই মহিলা। ওই দিনই মদনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছর ১১ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্য অভিযুক্ত বিজলি।” কার্তিকবাবু জানান, মাস ছয়েক আগে মামলা চলাকালীন দুই অভিযুক্তের মধ্যে জামিনে ছাড়া পাওয়া বিজলি ফেরার হয়। তৎকালীন বোলপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে মামলা চলে অন্য অভিযুক্ত মদনের। তার সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। মাস খানেক আগে বিজলিকে পুলিশ গ্রেফতার করে বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসুর এজলাসে পেশ করে। বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক মানস বসু। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করা হয়।
|
বিদ্যুৎ চুরি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা |
বাড়িতে বিদ্যুৎ চুরিতে অভিযুক্ত হলেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাড়গ্রাম থানার প্রতাপপুরের ঘটনা। ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মাড়গ্রাম গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের সহকারী বাস্তুকার শিশুনাথ দাস স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোস্তাক শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুনাথবাবু বলেন, “বিদ্যুৎ চুরি করায় বছর খানেক আগেই অভিযুক্তের বাবার নামে থাকা বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমাদের ভিজিল্যান্স টিম ওই একই বাড়িতে হানা দেয়। অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি।” অতীতে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত মোস্তাক শেখ। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, “অভিযোগ মিথ্যা। বাড়িটি আমার নয়। বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট মহকুমা বিভাগীয় আধিকারিককে জানিয়েছি।
|
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি |
প্রার্থীকে প্রশাসন ভুল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নামের তালিকা দেওয়ায় বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি-র জেলা সম্পাদক স্বরূপরতন সিংহের অভিযোগ, “রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন জেলা পরিষদের ২৯ নম্বর আসনের মধ্যে বনহাট, কুশুম্বা, আয়াষ ও নারায়ণপুর এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন ওই আসনের আমাদের প্রার্থী চিত্রা লেট আদিত্যকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বদলে জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসনের দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রয়েছে। এতে আমাদের দলীয় প্রার্থীরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন।” তিনি জানান, প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা বিষয়টি প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। রামপুরহাট মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”
|
নির্বাচনবিধি লাগু থাকাকালীন রাস্তায় পাথর গুঁড়ো ফেলার অভিযোগ উঠল মাড়গ্রামের হাজারপুর-ডাঙাপাড়া সংসদের সিপিএম প্রার্থী লুৎফুন্নেসা বিবির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ১৭ জুন রামপুরহাট ২ ব্লক বিডিও-র কাছে অভিযোগ হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিডিও মলয়কুমার ঘোষ জানান, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |