|
|
|
|
ঋতুপর্ণর শেষ লোকেশনে গুরু দত্ত
|
ধান্যকুড়িয়ার রাজবাড়িতে এক সময় শ্যুটিং করেছিলেন গুরু দত্ত। পরিচালককে নিয়ে
তৈরি বায়োপিক কি শ্যুটিং হবে সেখানেই? খোঁজ নিলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
ঋতুপর্ণ ঘোষ ‘সত্যান্বেষী’-র শেষ দিনের শু্যটিং করছিলেন ধান্যকুড়িয়ার রাজবাড়িতে। এই সেই রাজবাড়ি যেখানে এক সময় গুরু দত্ত এসে থেকেছিলেন। ‘সাহেব বিবি অউর গুলাম’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন তিনি এই বাড়িতেই থাকতেন। ওয়াহিদা রহমান থাকতেন কলকাতাতেই। রোজ প্রায় ৩০ কিমি গাড়ি করে যেতেন ওই রাজবাড়িতে। তার পর সেখানে গিয়ে শ্যুটিং করতেন তিনি।
গুরু দত্তকে নিয়ে একটি বায়োপিক বানাতে চলেছেন পরিচালক ভাবনা তলওয়ার। এবং সামনের জুলাই-অগস্ট মাস নাগাদ ধান্যকুড়িয়ার এই রাজবাড়িটি দেখতে আসবেন ভাবনা ও তাঁর প্রযোজক স্বামী শীতল তলওয়ার।
সব দেখেশুনে ভাল লাগলে ওখানে ছবিটির কিছু অংশের শ্যুটিং করবেন তাঁরা। বলে রাখা ভাল, এই বাড়িতেই হলিউড অভিনেতা হিউ গ্রান্ট শ্যুটিং করেছিলেন ‘লা নুই বেঙ্গলি’ ছবিটিরও।
শীতল প্রথম এই রাজবাড়ির কথা শোনেন ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রসঙ্গে। জানান, “আমি শুনেছিলাম যে ঋতুপর্ণ নাকি ট্যুইটারে লিখেছিলেন যে: ‘সারপ্রাইজিং দ্যাট দ্য ব্রুডিং প্রিন্স অব ইন্ডিয়ান সিনেমা, গুরু দত্ত, স্টেড ইন দ্য সেম প্যালেশিয়াল ম্যানসন টু ফিল্ম হিজ ‘সাহেব বিবি অউর গুলাম’।” |
গুরু দত্ত |
ভাবনার স্ক্রিপ্ট হয়তো জুলাই নাগাদ লেখা শেষ হবে। “তার পর আমাদের কলকাতা যাওয়ার প্ল্যান আছে। ঋতুপর্ণর ট্যুইট পড়ে ইচ্ছে হয়েছিল ওই বাড়িতে গিয়ে শ্যুটিং করার। যদি লজিস্টিক্স সাপোর্ট করে, তা হলে আমরা বায়োপিকটির কিছু অংশ ওখানেই শ্যুটিং করব। তবে সবার আগে দেখে নিতে হবে যে বাড়িটির এখনকার অবস্থা কী রকম আছে। স্ক্রিপ্টের সঙ্গে তা কতটা মিলছে সেটা দেখে নেওয়াটাও প্রয়োজনীয়,” শীতল বলছেন।
গুরু দত্ত তো নিজেও অনেক দিন কলকাতায় কাজ করেছিলেন। ছোটবেলা কেটেছে কলকাতাতে। লিভার ব্রাদার্স-এর ফ্যাক্টরিতে সুইচবোর্ড অপারেটরের চাকরিও করেছিলেন এক কালে। সেই সব দৃশ্য কি থাকবে ছবিতে? “ছবিটা আসলে হল পরিচালক গুরু দত্তকে নিয়ে। গুরু দত্ত হয়ে ওঠার গল্পটা এখানে সে ভাবে প্রাধান্য নাও পেতে পারে,” বলছেন প্রযোজক। যদিও স্ক্রিপ্টটা এখনও লেখা শেষ হয়নি তবে, এ ছবির গানের বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই চিন্তামুক্ত তলওয়ার দম্পতি। দেবজ্যোতি মিশ্র ভাবনার পরিচালিত ‘ধর্ম’ ছবিতে সুর দিয়েছিলেন। তবে এই ছবিতে দেবজ্যোতির কাজ করার কথা এখনও শোনা যায়নি।
গুরু দত্তের সিনেমার সব গানের কপিরাইট ছিল সারেগামা/এইচএমভি-র কাছে। ইতিমধ্যে ভাবনা তাঁর ছবিতে সেই সব গান ব্যবহার করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন। গুরু দত্তের ছবিতে সঙ্গীতের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই গানের স্বত্বগুলো পাওয়াতে তাঁদের অনেকটাই সুবিধে হবে। ‘জানে ক্যয়া তুনে কহি’, ‘ওয়াক্ত নে কিয়া ক্যয়া হঁসি সিতম’, ‘ইয়ে দুনিয়া অগর মিল ভি যায়ে’ আর ‘দেখি জমানে কি ইঁয়ারি’র মতো অনেক গানই ছবিটিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
আর কাস্টিং? স্ক্রিপ্ট শেষ না করে মুখ খুলতে রাজি নন কেউই। তবে সব ঠিক থাকলে এ বছরের শেষেই ছবির শ্যুটিং শুরু করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|