দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি মিলে ২৬টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। একটি আসনে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী রয়েছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে বামেদের সবগুলি আসনে প্রার্থী দিতে না পারার জেলায় সার্বিক বামজোট গড়ে ওঠেনি। জেলা বামফ্রন্টের ঘোষিত আসন নীতির উল্টো পথে হেঁটে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই আরএসপি আর সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ওই চিত্র সামনে আসতেই শাসক ও বিরোধী নেতাদের অস্বস্তি বেড়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিফলেট ছড়িয়ে গোঁজ প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হচ্ছে।” জেলা বামফ্রন্ট আহ্বায়ক মানবেশ চৌধুরী বলেন, “শাসক দলের সন্ত্রাসের ফলে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি।” সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একটা অংশের সঙ্গে তারা ঐক্য করেই লড়ছেন বলে মানবেশবাবুর দাবি।
জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন ১০০২। তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ৯৮২টি আসনে। জেলার বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবারে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত ৯৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৯২টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। কুশমন্ডি ব্লকে ১৩৩টি পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১২০টি আসনে এবং গঙ্গারামপুরে ১৬৬টি আসনের ১৬১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তপন ব্লকে ১৬১টি পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে তৃণমূলেরই ১৬৫ প্রার্থী দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, তপনেই ৪ জন গোঁজ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
পঞ্চায়েত সমিতির ১৯০ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ১৮৭। বংশীহারীতে ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি, কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনের মধ্যে ২২টিতে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে। গঙ্গারামপুরে পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি আসনের মধ্যে ৩৩জন প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদে ১৭ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সংখ্যা ১৮ । জেলা পরিষদের ২ নম্বর কুশমন্ডি আসনে দুজন মহিলা প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন।
পঞ্চায়েতে সিপিএমের ৬০৬টি, আরএসপি ৩৭১টি, সিপিআই ২০টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শেষ অবধি সিপিএম ৫৯১টি, আরএসপি ৩৬৫টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। সিপিআই বাড়তি ৫টি আসনে এবং ফব ৩৬ আসনে প্রার্থী দেয়। পঞ্চায়েত সমিতির ১৯০ আসনে সিপিএম ১১২ এবং আরএসপি ৭৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। সিপিআই ১টির বদলে ৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আসন বণ্টনে ফব’র জন্য পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কোনও আসন না থাকলেও দল এককভাবে ৮টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের তিনটি আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। |