ডুয়ার্সে ৩টি এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারে আসবেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। নাগরাকাটায় এসে দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি ওই ঘোষণা করেছিলেন। এর জেরে বিমল গুরুঙ্গ-এর ডুয়ার্সে সভার প্রতিবাদ শুরু করল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পুলিশ-প্রশাসন বিমল গুরুঙ্গকে ডুয়ার্সে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হলে ডুয়ার্সে বনধ ডাকার হুমকি দেয় পরিষদ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসক স্মারকী মহাপাত্রের দফতরে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে পরিষদ।
সংগঠনের ডুয়ার্স কমিটির সম্পাদক রাজেশ লাকড়া বলেন, “বিমল গুরুঙ্গ ডুয়ার্সে সভা, প্রচারে এলে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে। প্রশাসনকে সভার অনুমতি না দেওয়ার দাবিতেই স্মারকলিপিটি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন অনুমতি দিলে আমরা বনধ ডাকব।” তবে পরিষদের এই হুমকিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না মোর্চা নেতারা। রোশন গিরি বলেন, “বিমল গুরুঙ্গকে ডুয়ার্সে জনসভা করা থেকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। খুব শীঘ্র জনসভা দিনক্ষণ, এলাকা ঘোষণা করব। ভোটের প্রচার করার অধিকার সব দলেরই আছে। এখানে বিরোধিতার প্রশ্ন ওঠাটাই অবান্তর।” দলীয় সূত্রের খবর, ডুয়ার্সের বাগিচা বলয়ে পরিষদ বর্তমানে শক্তিশালী। সেন্ট্রাল ডুয়ার্স, কালচিনি, জয়গাঁ, হাসিমারা, মাদারিহাট এবং হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায় মোর্চার সংগঠন রয়েছে। উইলসন চম্প্রামারি কালচিনি থেকে মোর্চার সমর্থনে দুই দফায় বিধায়ক হন। তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেও এলাকায় মোর্চার সংগঠন রয়েছে। সেখানে মোর্চা জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত অবধি প্রার্থী দিয়েছে।
ডুয়ার্সের ঠিক কোথায় বিমল গুরুঙ্গ সভা করবেন, তা মোর্চা তরফে এখনও জানানো না হয়নি। মোর্চা সূত্রের খবর, নাগরাকাটা, বীরপাড়া ও কালচিনিকে সভাগুলি হতে পারে। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে মোর্চার জোট হওয়ায় ওই সভাগুলিতে তাঁদের নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে মোর্চা নেতারা জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “আমরা ডুয়ার্সে শান্তিশৃঙ্খলায় জোর দিচ্ছি। সভা নিয়ে কেউ অনুমতি চাইলে তখন পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত হবে।” |