দু’বছরের টালবাহানার পরে অবশেষে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগের জট কাটার ইঙ্গিত মিলল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চতুর্থ শ্রেণির পদের জন্য যাঁদের নাম পিএসসি-র প্যানেলে ছিল, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য জেলায় জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের (সিএমওএইচ) কাছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনরত, ভুক্তভোগী চাকরি প্রত্যাশীরা এই সিদ্ধান্তে অবশ্যই আশ্বস্ত। তবে কলকাতা ও জলপাইগুড়ি বাদে বাকি ১৭টি জেলার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় ঈষৎ সংশয়ে আছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য ছাড়া অন্য দফতরের ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশিকা জারি না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।
পিএসসি-র পরীক্ষায় পাশ করার পরে ২৮০২ জনের নামের প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১১-র জুন মাসে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই স্বাস্থ্য দফতরের জন্য। কিন্তু প্যানেল বেরোনোর পরে বারবার নানা মহলে দরবার করেও চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাননি ওই প্রার্থীরা। শেষ পর্যন্ত এ বছরের মার্চ মাসে রাজ্য প্রশাসনিক আদালত (স্যাট) নির্দেশ দেয়, ওই প্যানেলভুক্তদের চার মাসের মধ্যে নিয়োগ করতেই হবে। সেই সময়সীমা ফুরনোর আগেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তবে কলকাতার সদর দফতর বিজ্ঞপ্তির আওতায় না-থাকায় স্বাস্থ্য দফতরেরই ১২১০ জন প্যানেলভুক্ত এখনও অনিশ্চয়তায় থাকলেন। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ৮২ জন প্যানেলভুক্ত প্রার্থীর বিষয়েও নির্দেশ জারি হয়নি এখনও।
প্যানেলে থেকেও চাকরি না পেয়ে রাজ্যপালের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিলেন কয়েকশো ভুক্তভোগী। গোড়া থেকেই তাঁদের হয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব লিগ। সরকারি নির্দেশের পরে যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী বুধবার বলেন, “ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙানো গিয়েছে! কিন্তু প্রাথমিক এই বিজ্ঞপ্তি যেন খুড়োর কল না হয়! দ্রুত প্রক্রিয়া শেষ করে সকলের হাতে নিয়োগপত্র তুলে না-দিলে আমরা ফের রাস্তায় থাকব!” চাকরিপ্রার্থীদের দু’বছরের ক্ষতিপূরণও সরকারকে দিতে হবে বলে তাঁদের দাবি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথির ব্যাখ্যা, জেলায় সিএমওএইচ-দের কাছে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। কলকাতায় দু’টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ মোট শূন্য পদের তালিকা দিলে সেখানেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
|
প্রয়াত হলেন সারদা মঠের প্রবীণ সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা বিষ্ণুপ্রাণা (৮৪)। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গারামপুরে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনে মৃত্যু হয় তাঁর। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষষ্ঠ অধ্যক্ষ স্বামী বিরজানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা লাভ করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সন্ন্যাস নেন সারদা মঠের দ্বিতীয় অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণার কাছে। রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের হাসপাতাল কেন্দ্র ‘মাতৃভবন’-এ ২০ বছর নার্স হিসেবে সেবারত ছিলেন বিষ্ণুপ্রাণা। ২০০৪ সাল থেকে গঙ্গারামপুরেই অবসরজীবন যাপন করছিলেন তিনি। |