ব্যতিক্রম তৃণমূল
পিএসসি-বিতর্কে ‘ঐক্য’ কংগ্রেস-বাম-বিজেপি-র
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্যানেলভুক্ত হয়েও যাঁরা সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না, তাঁদের স্বার্থে একযোগে রাস্তায় নামল বাম, অ-বাম এবং বিজেপি। ব্যতিক্রম শুধু রাজ্যের প্রধান শাসক দল তৃণমূল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ‘সহমর্মিতা’ পেয়ে চাকরি-প্রত্যাশীরাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অনশন-অবস্থানে কাজ না-হলে প্রয়োজনে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ‘ভুখা মিছিল’ নিয়ে যাওয়া হবে।
চাকরি-প্রত্যাশী ভুক্তভোগীদের ‘অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ‘প্রতীকী’ অনশন করেন। ভুক্তভোগীদের এক জন আগেই রাজ্যপালের কাছে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আবেদন করেন। ‘প্রতীকী’ অনশনের শেষে এ দিনই ভুক্তভোগীদের মধ্যে আরও ১১ জন রাজ্যপালের দফতরে গিয়ে চিঠি দিয়ে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আবেদন জানান। রয়েছেন সিঙ্গুরের এক জন ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকের পুত্র শান্তনু দাস। সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছেও।
অনশন-মঞ্চে ভুক্তভোগীদের সমর্থনে বক্তৃতা করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা হাফিজ আলম সৈরানি, ফব-র যুব সংগঠন যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী, সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের কলকাতা জেলা সম্পাদক রাজীব মজুমদার, এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র, রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য। প্রত্যেকেরই বক্তব্য, রাজ্য সরকার ‘অবৈধ’ এবং ‘অমানবিক’ ভাবে পিএসসি-র ওই প্যানেলভুক্তদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করছে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের সদস্য তথা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মীরাতুন নাহার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা বিপুল রায়ও এ দিন ওই অনশন-মঞ্চে বক্তৃতা করেন। মীরাতুন বলেন, “সরকার পিএসসি-র এই প্যানেলভুক্তদের সঙ্গে অসহযোগিতা জারি রাখলে প্রতিবাদে কলেজ সার্ভিস কমিশন থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব।” প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে গ্রুপ-ডি কর্মী নেওয়ার জন্য পরীক্ষা হয়েছিল ২০১০ সালে। সফল চাকরিপ্রার্থীদের সাতটি প্যানেল বেরিয়েছিল। দ্বিতীয়টি ছাড়া সব ক’টি প্যানেল থেকেই সফল প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। দ্বিতীয় প্যানেলে নাম
রয়েছে ২,৮১৭ জনের। যাঁদের চাকরি পাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীন স্বাস্থ্য দফতরে।
ভুক্তভোগী চাকরি-প্রত্যাশীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার পিছনে ভূমিকা রয়েছে বাম শরিক ফ ব-র। যুব লিগের অনির্বাণবাবু এ দিনের অবস্থানে বলেন, “প্যানেলভুক্তদের চাকরি না-দিয়ে রাজ্য সরকার অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ করছে। কারণ জানতে চাইলে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য ওঁদের আবার নিয়োগ করা হচ্ছে। তা হলে সরকার চালানোর অনেক অভিজ্ঞতা আছে বলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দিতে হয়!” ভুক্তভোগীদের তরফে অনন্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেধা তালিকার নীচের দিক থেকে সরকার নিয়োগ করেছে। অথচ আমাদের ডাকা হয়নি। এই প্রতিবাদে কাজ না-হলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাতা-খুন্তি-থালা নিয়ে ভুখা মিছিল করব আমরা।”
জোট শরিক হয়েও কংগ্রেসের ওমপ্রকাশবাবু পিএসসি-কাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে ‘জালিয়াতি’র অভিযোগ তুলেছেন। ভুক্তভোগীদের প্রতি তাঁর আশ্বাস, তাঁদের সমস্যা নিয়ে প্রয়োজনে প্রদেশ কংগ্রেস
নেতৃত্ব রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন। সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এসইউসি বিধায়ক তরুণবাবুও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.