|
|
|
|
ফালোপার সহকারী থাকছেন রঞ্জনই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চুক্তি ছিলই। কিন্তু তার পরেও দরকার ছিল নবনিযুক্ত ব্রাজিলীয় কোচ মার্কোস ফালোপার সবুজ-সঙ্কেত। শেষ পর্যন্ত তা আসায় আসন্ন ফুটবল মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ থেকে গেলেন রঞ্জন চৌধুরী।
এ দিন বিকেলে ব্যক্তিগত কাজে ক্লাব তাঁবুতে এসেছিলেন রঞ্জন। সেখানেই ক্লাবের তরফে দায়িত্বে বহাল থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রঞ্জন বলেন, “এই ক্লাবে খেলেছি। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত থাকার ব্যাপারটা একটা বিরাট সম্মানের। চেষ্টা থাকবে নিজের একশো শতাংশ দেওয়ার।” যদিও গতবারের তুলনায় পারিশ্রমিক কমেছে রঞ্জনের। এ প্রসঙ্গে লাল-হলুদের সহকারী কোচ বলছেন, “গোটা দেশের সঙ্গেই আর্থিক সমস্যায় কাবু ভারতীয় ফুটবল। অর্থ নিয়ে দরাদরির বদলে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল নিয়ে কাজ করতেই আমি বেশি আগ্রহী।”
বিগত তিন মরসুমে মর্গ্যান-অতনু-রঞ্জন কোচিং ত্রিভুজ ইস্টবেঙ্গলে কাজ করলেও চলতি মরসুমে ট্রেভর জেমস মর্গ্যান দল ছাড়ার পর গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্যকে রাখেননি কর্তারা। কারণ নতুন কোচ মার্কোস ফালোপার সঙ্গে গোলকিপার কোচের দায়িত্ব সামলাবেন তাঁর পুত্র আমেরিকো। সহকারী কোচ হিসাবে রঞ্জনকে তাই রাখা হবে কি না তা নতুন কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “রঞ্জন আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ক্লাবের যে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায়। নতুন কোচকে রঞ্জনের বিগত মরসুমের কাজকর্ম জানাতে উনি তাতে সম্মতি দিয়েছেন।” শোনা যাচ্ছে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফালোপা-রঞ্জন-আমেরিকো ত্রয়ী কাজ শুরু করবেন আবাসিক শিবির দিয়েই।
ইস্টবেঙ্গলে যখন সহকারী কোচ নিয়োগও চূড়ান্ত, মোহনবাগানে তখন দলবদলের বাজার ধাক্কা খেয়েছে সচিব অঞ্জন মিত্র ফের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায়। তবে চতুর্থ বিদেশি-সহ, বেশ কয়েক জন ফুটবলারের সঙ্গে পুরোদমে কথাবার্তা জারি রয়েছে সবুজ-মেরুন রিক্রুটারদের।
এ দিকে, এ দিনই আইএফএ-র গভর্নিং বডির সভায় পেশ হয়েছে ২০১২-১৩ মরসুমের জমা-খরচের হিসাব। যেখানে আইএফএ-র লাভ হয়েছে ৫৭ লক্ষ টাকা। গত বার এই লাভের পরিমাণ ছিল মাত্র চার লক্ষ টাকা। এ দিনই প্রথম এবং প্রিমিয়ার ডিভিশনের সই শুরু হল আইএফএ-তে। প্রথম দিনই এরিয়ানে সই করলেন গত বছর মোহনবাগানে খেলে যাওয়া স্ট্যানলি। |
|
|
|
|
|