|
|
|
|
|
এর পরেও ইংল্যান্ডকে
ভয়ঙ্কর লাগছে না অশোক মলহোত্র |
|
গ্যারি কার্স্টেনও দক্ষিণ আফ্রিকার পিঠ থেকে তকমাটা মুছে দিতে পারল না ‘চোকার্স’। তকমাটা তা হলে মুছবে কে?
গোটা টুর্নামেন্টে ভাল খেলার পর মরা-বাঁচার লড়াইয়ে আত্মসমর্পণ করা তো আর দক্ষিণ আফ্রিকার আজকের অভ্যাস নয়, বহুকালের। তাই এই আশঙ্কাটা ছিলই। হলও তাই। কী জঘন্য ব্যাটিং এবি ডে’ভিলিয়ার্সদের। এর আগের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সম্পর্কে যে ধারণা দিয়েছিল ওরা, একটা ইনিংসেই সেই ধারণা ধুয়ে মুছে সাফ। এবং সেই ম্যাচটাই কিনা নক আউট ম্যাচ।
বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইংল্যান্ডের সাত উইকেটে হারানোর মধ্যে বিশাল কোনও কৃতিত্ব দেখতে পাচ্ছি না আমি। বিপক্ষ এ ভাবে ছুড়ে ছুড়ে উইকেট দিয়ে এলে সে ইংল্যান্ড কেন, যে কোনও দলই জিততে পারে।
মোদ্দা কথা যেটা বলতে চাইছি, তা হল, ধোনিরা ফাইনালে উঠলে ইংল্যান্ডকে নিয়ে বিশাল কিছু ভাবার দরকার হবে না। অ্যান্ডারসন, ফিন, ব্রড, ট্রেডওয়েলরা ভাল বোলার ঠিকই, তবে ওরা এমন কিছু ভয়ঙ্কর বোলার নয়, যারা এই ফর্মের ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে এ দিনের মতো ধস নামিয়ে দিতে পারে। এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা যে সব আউট হল, সে সবের জন্য দারুণ বোলিংয়ের কোনও প্রয়োজন নেই। |
অ্যান্ডারসন: ৮-১-১৪-২ |
নিজেদের ভুলেই বেশিরভাগ আউট হল এবি-রা। এবি-র নিজের আউটের কথাই ধরুন না। ব্রডের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে যাওয়া বলকে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়ে গেল। বরং আমলাকে যে বলটায় আউট করল ফিন, সেটা বেশ ভাল। তবে আমলা জাজমেন্টটা ঠিকমতো করলে হয়তো আউট হত না। ডেভিড মিলারের একার চেষ্টায় তো আর একটা গোটা ইনিংস দাঁড়াবে না। আর ১৭৫ রানটা এখনকার ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বড় কোনও রানই নয়। স্টেইনহীন বোলিং বিভাগ ইংরেজদের একটুও বেগ দিতে পারেনি।
ফাইনালে উঠলে একটা ব্যাপার ভারতকে মাথায় রাখতে হবে। এই ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে এক দিনের ক্রিকেটটা বিদেশের মাঠের চেয়ে ভাল খেলে। তা ছাড়া অনেক দিন বাদে একটা ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড। শেষ বার খেলেছিল ২০০৪-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। এই ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে কুকদের তাতিয়ে রাখবে।
ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্লাস পয়েন্ট হতে পারে এই স্পিরিটটাই। তার বাইরে দলগত শক্তি হিসাবে কুকদের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার বিশেষ সম্ভাবনা দেখছি না।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৮.৪ ওভারে ১৭৫ (মিলার ৫৬ নআ, ট্রেডওয়েল ৩-১৯, ব্রড ৩-৫০)
ইংল্যান্ড ৩৭.৩ ওভারে ১৭৯-৩ (ট্রট ৮২ ন. আ)। |
|
|
|
|
|