|
|
|
|
বিয়ের আশ্বাসে সহবাস, জেলেই বিয়ে অভিযুক্তের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আর বিয়ে করতে রাজি হননি। তখন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান।
ইতিমধ্যে জামিনের আবেদন জানিয়ে মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যুবক। আদালত জানিয়ে দেয়, যুবতীকে যদি তিনি বিয়ে করেন তবেই জামিন মিলতে পারে। পরিস্থিতি দেখে অভিযোগকারী যুবতীকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান যুবকটি। আদালতের অনুমতি নিয়ে বুধবার মেদিনীপুর জেলেই বসল সেই বিয়ের আসর। যেখানে চার হাত এক হয়ে গেল। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ওয়েলফেয়ার অফিসার মহুয়া বাগচি মিত্র বলেন, “বিয়ের সব আয়োজনই করা হয়েছিল।”
অভিযুক্ত যুবক রতন রায়ের (নাম পরিবর্তিত) বাড়ি লালগড় থানার কাঁটাপাহাড়িতে। আর যুবতী স্বপ্না রায় (নাম পরিবর্তিত) কোতয়ালি থানার চণ্ডীপুরের বাসিন্দা। রতনের এক আত্মীয় বাড়ি রয়েছে চণ্ডীপুরে। সেই সূত্রে তাঁর এখানে যাতায়াত ছিল। আত্মীয়বাড়িতে যাতায়াতের সূত্রেই স্বপ্নার সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠে। এরপরই রতন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বপ্নার সঙ্গে সহবাস করে বলে অভিযোগ। স্বপ্না অন্তঃসত্ত্বা হয় পড়েন। এখন তার ছ’মাসের সন্তান রয়েছে। স্বপ্নার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতয়ালি থানা মামলা রুজু হয় গত ২০ জানুয়ারি। আর তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে ১৯ এপ্রিল। সেই থেকে যুবকটি জেলেই রয়েছেন। পাত্রপাত্রী, দু’পক্ষের লোকজনই বুধবার মেদিনীপুর জেলে হাজির হয়েছিলেন। |
|
|
|
|
|