|
|
|
|
সিপিএমের কাউন্সিলর দল ছাড়লেন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হল মেদিনীপুরের সিপিএম কাউন্সিলর সুমিতা বেরার। তাঁর দলীয় সদস্যপদও পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। পুর-ভোটের ঠিক আগে এমন ঘটনায় জল্পনা শুরু হয়েছে। শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিতাদেবী বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে আর আমার সম্পর্ক নেই। তবে মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি। আগামী দিনেও থাকব।” সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর বক্তব্য, “ওই কাউন্সিলর আর এখন দলের কেউ নন।”
কেন এই পরিস্থিতি? দলীয় সূত্রে খবর, সুমিতাদেবী দলের নির্দেশ এড়িয়ে চলছিলেন। এক নেতার কথায়, “ওয়ার্ডের কাজকর্ম নিয়ে যে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খুব বেশি অভিযোগ রয়েছে, তা নয়। তবে তিনি দলের নির্দেশ মানছিলেন না। দল যা বলছিল, তার উল্টোটা করছিলেন। আমাদের দলে শৃঙ্খলাটাই আগে।”
২০০৮ সালের নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হন সুমিতাদেবী। ওই বছর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়। ২০০৩ সালে এখানে জিতেছিলেন কীর্তিবাবু। কাউন্সিলর হওয়ার আগে সিপিএমের সঙ্গে সে ভাবে সম্পর্কও ছিল না সুমিতাদেবীর। দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে দেখেন নেতৃত্ব। তারপর কীর্তিবাবু-সহ স্থানীয় নেতৃত্বের মত নিয়ে তাঁকে প্রার্থী করা হয়। ভোটের পরই অবশ্য তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়। ঘনিষ্ঠ মহলে সুমিতাদেবীর বক্তব্য, তিনি স্বচ্ছ ভাবে কাজ করেন। দলের একাংশ নেতা সেটাই পছন্দ করেন না। তাই তিনি বিরাগভাজন হন। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য এ সব মানতে নারাজ।
২০০৮ সালের ২৯ জুন মেদিনীপুরে পুর-নির্বাচন হয়েছিল। ফলে, চলতি মাসেই ভোট হওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে নির্বাচন যবেই হোক, সুমিতাদেবী আর সিপিএমের প্রতীক পাবেন না। সুমিতাদেবীও তা চান না। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন। সুমিতাদেবী বলেন, “সিপিএমের প্রার্থী হব না, এটুকু বলতে পারি। এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই ফের প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করব।” |
|
|
|
|
|