|
|
|
|
রাস্তা সংস্কারে টাকা চাইবে পুরসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সংস্কারের অভাবে রেলশহর খড়্গপুরের বেশ কিছু বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ব্যাপার। খানাখন্দে ভর্তি রাস্তায় সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। তবুও রাস্তা সংস্কারে পুরসভা উদ্যোগী হয়নি। আয়মা, গোলবাজার, খরিদা, আনন্দনগর, সাঁজোয়াল এলাকায় বেশ কিছু রাস্তা সংস্কার প্রয়োজন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র (সুডা) কাছে দেড় কোটি টাকা চেয়ে প্রকল্প পাঠাচ্ছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। অর্থ মঞ্জুর হলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে। বুধবার খড়্গপুর পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ দিন বোর্ড মিটিংয়ে কাউন্সিলররা এ বিষয়ে সম্মতি দেন। সিদ্ধান্ত হয় পুরসভা থেকে চিঠি পাঠিয়ে টাকা চাওয়া হবে ‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড’ (বিআরজিএফ) থেকে। |
খড়্গপুরে বেহাল রাস্তা।—নিজস্ব চিত্র। |
নতুন নতুন বসতি গড়ে ওঠায় ক্রমশ ভোল বদলাচ্ছে খড়্গপুরের। মূলত, রেলের সূত্রেই এ শহরের এই ভোলবদল। খড়গপুরের গোলবাজার, পুরাতন বাজার, খরিদা-সহ বিভিন্ন এলাকা ব্যবসার সুযোগ বেড়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে নিজের জায়গায় বা ভাড়া বাড়িতে দোকানঘর তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেছেন। তবে প্রধান কিছু রাস্তা-সহ অনেক রাস্তার হাল সে ভাবে ফেরেনি। ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী বলেন, “সমস্যার কথা ভেবে সুডার কাছে প্রকল্প পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। শহরের বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন। অর্থ মঞ্জুর হলেই কাউন্সিলররা প্রয়োজন মতো সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবেন।”
রেলশহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে রেল এবং আইআইটি এলাকার ৯টি ওয়ার্ড বিআরজিএফের অর্থ পেতে পারে না। তবে, বাকি ২৬টি ওয়ার্ড তা পেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে পুর- কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করেছেন, এর মধ্যে ২৩টি ওয়ার্ডের জন্য সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা করে ও বাকি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য চার লক্ষ টাকা করে চাওয়া হবে। সেই সঙ্গে পুরসভায় নির্মীয়মাণ নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরির জন্যও অর্থ চেয়ে দরবার করা হবে। তুষারবাবু বলেন, “সব মিলিয়ে ২৬টি ওয়ার্ডের জন্য অর্থ চাওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|