|
|
|
|
বিলির পরেও জমা পড়েনি
৪৬টি প্রতীক, অস্বস্তি তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলের তরফে প্রতীক বিলি করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬টি আসনে তৃণমূলের প্রতীক জমা পড়েনি। অর্থাৎ ওই আসনগুলিতে তৃণমূলের প্রার্থীই নেই! পশ্চিম মেদিনীপুরে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে এটা কি সাংগঠনিক দুর্বলতা না দলীয় কোন্দলের জের?
কোথায় গেল প্রতীকগুলি? এর সদুত্তর মেলেনি। কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ে দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলছেন, “এটা এমন কোনও ব্যাপার নয়। মনোনয়ন-পর্ব শেষে বিষয়টা আমাদেরও নজরে এসেছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি, ওই আসনগুলোতে দলের কর্মীরাই নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তবে এটা স্থানীয় সিদ্ধান্ত, জেলার নয়। কেন এমন হল ব্লকগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে।” তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্লক নেতৃত্ব দায় এড়াচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, অঞ্চল নেতৃত্বের হাতে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রতীক জমা না পড়ার কথা তাঁরা পরে জানতে পেরেছেন। |
নিখোঁজ প্রতীক |
ব্লক |
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন |
ঘাসফুল নেই |
সবং |
২০০ |
২৮ |
ঘাটাল |
১৬৬ |
৫ |
বিনপুর ২ |
১২৮ |
২ |
পিংলা |
১৪২ |
১ |
নারায়ণগড় |
২২৪ |
২ |
দাঁতন ২ |
১১৪ |
১ |
খড়্গপুর ১ |
১১২ |
২ |
খড়্গপুর ২ |
১২৯ |
৪ |
ডেবরা |
২১৪ |
১ |
|
সব মিলিয়ে ৯টি ব্লকে এমন ঘটনা ঘটেছে। ব্লকগুলি হল ঘাটাল, বিনপুর-২, সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, দাঁতন-২, খড়্গপুর-২, খড়্গপুর-১ এবং ডেবরা। ডেবরার ঘটনাটি অবশ্য অন্য। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েও প্রত্যাহার করেছেন। বিলির পরও সব থেকে বেশি সংখ্যক প্রতীক থেকে গিয়েছে সবংয়ে। কেন এমন পরিস্থিতি? সবংয়ের তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, “ওই সব আসনে আমাদের নির্দল প্রার্থী রয়েছে। স্থানীয় স্তরের সিদ্ধান্তে দলের প্রার্থীরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।” এটা কি সাংগঠনিক দুর্বলতা নয়? সদুত্তর মেলেনি ওই তৃণমূল নেতার কাছে। তবে স্থানীয় এক তৃণমূলের নেতার স্বীকারোক্তি, “সব সময় উপর থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেই হয় না। স্থানীয়দের মতামত গুরুত্ব দিতে হয়। না হলে দলকে সমস্যায় পড়তে হবে।” সবংয়ের বলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সব আসনে আবার কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হয়েছে। দু’দলের জেলা নেতৃত্ব না মানলেও স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের বক্তব্য, সিপিএমকে বিরুদ্ধে মানুষের জোট হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৭১১টি। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩ হাজার ৮৪৬টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৭৯৮টি এবং জেলা পরিষদের ৬৭টি। মনোনয়ন-পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৮টি তৃণমূলের দখলে চলে এসেছে। এই যখন সার্বিক পরিস্থিতি, তখন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬টি আসনে প্রতীকে তৃণমূলের প্রার্থী না থাকায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্বই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা নেতার স্বীকারোক্তি, “এমনটা না হলেই ভাল হত। বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে পর্যালোচনা হবে।” |
|
|
|
|
|