|
|
|
|
‘এই বিপদে না পড়লে জানতেই পারতাম না সেনা-ভাইরা কত মহান’ |
রাজীব ঘোষ • কলকাতা |
বুধবার সন্ধ্যায় জোশীমঠের ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের ত্রাণ শিবির থেকে মুক্ত হওয়ার আগে আনন্দবাজার-কে জানালেন হরভজন সিংহ। ফোনে, এসএমএসে দু’দিন ধরে চেষ্টার পর বুধবার দুপুরে শোনা গেল তাঁর কন্ঠস্বর...
প্রশ্ন: এখনও কি জোশীমঠের ত্রাণ শিবিরেই রয়েছেন?
হরভজন: হ্যাঁ, এখনও এখানেই আছি। এটা আমার সৌভাগ্য বলতে হবে যে, বেঁচে রয়েছি। চারদিকে যা হচ্ছে।
প্রশ্ন: আবহাওয়ার কি উন্নতি হয়েছে কিছুটা?
হরভজন: হ্যাঁ, তা তো হয়েছেই। তবে শুনছি, ফের বৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার বিলাসবহুল বাড়ি বা পাঁচতারা হোটেল ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে এত মানুষের সঙ্গে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে না? |
|
জোশীমঠের ত্রাণ শিবিরে। |
হরভজন: অসুবিধা! এখানে না এলে জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতাই হত না। সেনা-ভাইরা কত কষ্ট করে মানুষের জন্য প্রাণপণ লড়াই করেন, তা-ই তো জানতে পারতাম না। মানুষের মঙ্গলের জন্য এরা কী না করেন। ওদের স্যালুট করি। আমরা আর দেশের জন্য কী করি? ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
প্রশ্ন: ছবিতে দেখলাম, ওখানেও অটোগ্রাফ শিকারিদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না। আপনার মতো একজন সেলিব্রিটিকে পেয়ে ওখানে নিশ্চয়ই সবাই খুব এক্সাইটেড?
হরভজন: এখানে আমি সেলিব্রিটি নই। আমরা সবাই এক। একসঙ্গে বসে ডাল-রুটি, খিচুড়ি খাচ্ছি। আড্ডাও মারছি। সবাইকে মানসিক শক্তি জোগানোর চেষ্টা করছি। সেনা-ভাইদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ওদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টনও খেলছি। উদ্বেগও রয়েছে, কী করে আমরা ফিরব। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আমি যোগাযোগ রাখছি সবার সঙ্গেই। কিন্তু নেটওয়ার্কে খুব সমস্যা হচ্ছে। |
|
উদ্ধার করলেন যে ‘সেনা ভাইরা’। ছবি টুইটারের। |
এর পর বুধবার সন্ধ্যায় হরভজন নিজেই টুইট করে জানান, “পাঠানকোটের ২০৫ আর্মি এভিয়েশন স্কোয়াড্রন আমাদের উদ্ধার করল। ওদের ধন্যবাদ। অনেক সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরছি।” |
|
|
|
|
|