‘এই বিপদে না পড়লে জানতেই পারতাম না সেনা-ভাইরা কত মহান’
বুধবার সন্ধ্যায় জোশীমঠের ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের ত্রাণ শিবির থেকে মুক্ত হওয়ার আগে আনন্দবাজার-কে জানালেন হরভজন সিংহ। ফোনে, এসএমএসে দু’দিন ধরে চেষ্টার পর বুধবার দুপুরে শোনা গেল তাঁর কন্ঠস্বর...
প্রশ্ন: এখনও কি জোশীমঠের ত্রাণ শিবিরেই রয়েছেন?
হরভজন: হ্যাঁ, এখনও এখানেই আছি। এটা আমার সৌভাগ্য বলতে হবে যে, বেঁচে রয়েছি। চারদিকে যা হচ্ছে।
প্রশ্ন: আবহাওয়ার কি উন্নতি হয়েছে কিছুটা?
হরভজন: হ্যাঁ, তা তো হয়েছেই। তবে শুনছি, ফের বৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার বিলাসবহুল বাড়ি বা পাঁচতারা হোটেল ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে এত মানুষের সঙ্গে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে না?
জোশীমঠের ত্রাণ শিবিরে।
হরভজন: অসুবিধা! এখানে না এলে জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতাই হত না। সেনা-ভাইরা কত কষ্ট করে মানুষের জন্য প্রাণপণ লড়াই করেন, তা-ই তো জানতে পারতাম না। মানুষের মঙ্গলের জন্য এরা কী না করেন। ওদের স্যালুট করি। আমরা আর দেশের জন্য কী করি? ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
প্রশ্ন: ছবিতে দেখলাম, ওখানেও অটোগ্রাফ শিকারিদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না। আপনার মতো একজন সেলিব্রিটিকে পেয়ে ওখানে নিশ্চয়ই সবাই খুব এক্সাইটেড?
হরভজন: এখানে আমি সেলিব্রিটি নই। আমরা সবাই এক। একসঙ্গে বসে ডাল-রুটি, খিচুড়ি খাচ্ছি। আড্ডাও মারছি। সবাইকে মানসিক শক্তি জোগানোর চেষ্টা করছি। সেনা-ভাইদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ওদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টনও খেলছি। উদ্বেগও রয়েছে, কী করে আমরা ফিরব। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আমি যোগাযোগ রাখছি সবার সঙ্গেই। কিন্তু নেটওয়ার্কে খুব সমস্যা হচ্ছে।
উদ্ধার করলেন যে ‘সেনা ভাইরা’। ছবি টুইটারের।
এর পর বুধবার সন্ধ্যায় হরভজন নিজেই টুইট করে জানান, “পাঠানকোটের ২০৫ আর্মি এভিয়েশন স্কোয়াড্রন আমাদের উদ্ধার করল। ওদের ধন্যবাদ। অনেক সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.