কাজের দিনে কলকাতার শহরের কেন্দ্রস্থলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিল আদালত।
২০০৩ সালে কলকাতা ও হাওড়ার ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কালকাতা হাইকোর্ট সুভাষবাবুর কাছে কিছু প্রস্তাব চায়। বুধবার আদালতের কাছে সুভাষবাবু কয়েকটি প্রস্তাবও দেন। যে প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে, কলকাতার দৈনন্দিন সমস্যা শহরের কেন্দ্রস্থলে মিছিল, সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা-সহ যত্রতত্র পার্কিং, ফুটপাথ ও রাস্তা দখল করে হকারি, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে খারাপ রাস্তা সারানো, ট্রাফিক সিগন্যালে গ্রিন চ্যানেল পদ্ধতি চালু করা ইত্যাদি।
সুভাষবাবু এ দিন আদালতকে জানান, কলকাতা শহরের শতকরা ৫ ভাগ রাস্তা রয়েছে। তাই তাঁর প্রস্তাব, রাস্তা বন্ধ করে মিছিল, সভা-সমাবেশ করলে বহু মানুষের অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে এর আগে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানতে চেয়েছিল হাইকোর্টও। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও দলই উত্তর দেয়নি। সুভাষবাবু তাই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মতামত জানার উপরে জোর দেন।
শহরের কেন্দ্রস্থলে রাস্তা আটকে সভা-সমাবেশ করার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিছু দিন আগেই মেট্রো চ্যানেলে সভা-সমাবেশ এবং কলকাতা শহরে কেন্দ্রস্থলে আইন-অমান্য কর্মসূচি নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দেয় কলকাতা পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া সব রাজনৈতিক দলই অবশ্য এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সুভাষবাবু আদালতের কাছে আরও অভিযোগ করেন, এ শহরে যত্রতত্র পার্কিং করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পুরসভার সঙ্গে পুলিশের বিবাদ দীর্ঘদিনের। তাই পুরসভা যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করে, তা রাজ্য সরকারের দেখা দরকার।
সুভাষবাবু এ দিন আদালতের কাছে নির্দিষ্ট হকার জোন করে রাস্তা ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করারও প্রস্তাব দেন। সুভাষবাবু এই প্রস্তাব শোনার পরে কলকাতা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেয়। |