কলকাতা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠল। পুলিশ জানায়, শ্বেতা ইনদোরিয়া নামে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জোড়াসাঁকো থানায় মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন আসলাম খান নামে স্থানীয় এক যুবক। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ও শম্ভুনাথ কাওয়ের নামে খুনের অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে।
পুলিশ জানায়, কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে তারাচাঁদ দত্ত স্ট্রিটে গাড়ি পার্কিংয়ের টাকা আদায়ের জন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। আসলামকে পার্কিংয়ের টাকা আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছে ওই সংস্থা। আসলামের অভিযোগ, কাউন্সিলর শ্বেতা গত ৩ জুন দুপুরে দলবল নিয়ে তারাচাঁদ দত্ত স্ট্রিটে ওই পার্কিং লটের দখল নিতে যান এবং বিনা কারণে তাঁকে রড দিয়ে মেরে এলাকা ছাড়া করেন। আসলাম পুলিশের কাছে অভিযোগে বলেছেন, তাঁকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল।
আসলামের অভিযোগ, “এফআইআর দায়ের করলেও ওই কাউন্সিলর বা তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, আসলামকে মারধর করে অরিফ খান, গুফরান, মিরাজ ও আরও কয়েক জন যুবক। কাউন্সিলর মারধরের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন। তবে আসলাম বুধবারও অভিযোগ করেছেন, ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বেতা ইনদোরিয়া। তাঁর দাবি, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। গোলমাল হচ্ছে খবর পেয়ে পরে আমি সেখানে যাই। আমি কাউকে মারধর করিনি।
তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ওই কাউন্সিলর ব্যাঙ্কশাল আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের আইনজীবী সত্যজিৎ রায়চৌধুরী জানান, আগামী ২৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না কেন? তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, মূল অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |