ইলিশ-চিংড়ি জমাটি লড়াই
কাশের মুখ ভার। মাঝেমধ্যেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে রাঁচি। এরই মধ্যে রাজধানীর একটি হোটেলের রেস্তোরাঁয় জমে উঠল ঘটি-বাঙাল খাবারের ‘লড়াই’।
ইলিশ আর চিংড়ির হরেক লোভনীয় পদের প্রতিযোগিতায় অবশ্য আপাতত এগিয়ে ইলিশই।
ভাপা-ইলিশ আর গলদা চিংড়ির মালাইকারির অমোঘ আকর্ষণে রাঁচির খাদ্যরসিকদের ভিড় জমছে স্টেশন রোডের একটি হোটেলে বাংলা খাবারের উৎসবে। গত শুক্রবার থেকে ওই উৎসব শুরু হয়েছে। চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দই ইলিশ, ভেটকি পাতুরি, গলদা চিংড়ির মালাইকারি তো রয়েছেই সঙ্গে রয়েছে নানা নিরামিষ খাবার। ওই তালিয়াক রয়েছে ভাজা মুগের ডাল, পটলের দোরমা, আলু পোস্ত, মোচার ঘন্টর মতো ‘পুরনো’ রান্না।
এমন সব বাঙালি খাবার নিয়ে চলছে উৎসব। রাঁচির স্টেশন রোডের এক হোটেলে। ছবি: প্রশান্ত মিত্র।
উৎসবের শিরোনাম “ফ্লেভারস অফ বেঙ্গল”।
এমনিতেই এ শহরে হাতে গোনা কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে বাঙালি খাবার পাওয়া যায়। তাই এই বাঙালি খাবারের উৎসব রাঁচির মানুষের মন জিতে নেবে তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। রেস্তোরাঁটিকেও সাজানো হয়েছে বাংলার ঘরের মতো করেই।
স্টেশন রোডের ওই হোটেলের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার ধর্মবীর কুমারের কথায়, “আমাদের হোটেলে বাঙালিরাই বেশি ওঠেন। তাঁরা বাঙালি রান্নাও খেতে চান। কিন্তু অনেক সময়ই আমরা তা দিতে পারি না। এই উৎসবে বাঙালি রান্নার যে সব পদের চাহিদা বেশি থাকবে আগামী দিনে হোটেলের মেনুতে সেগুলি যুক্ত করা হবে। আপাতত ইলিশের চাহিদাই বেশি। তার পরই রয়েছে গলদা চিংড়ি।”
ধরমবীর জানান, বাঙালি রান্নার জন্য কলকাতা থেকে স্বরূপ রায়ের নেতৃত্বে রাঁধুনিদের একটি দলকে রাঁচিতে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। স্বরূপবাবুর কথায়, “দু’দিন অন্তর ইলিশ আর চিংড়ি কলকাতা থেকে আনানো হচ্ছে। এতটাই চাহিদা।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.