বেশ কিছু দিন ধরেই টানা বিক্রি কমতে থাকা গাড়ি বাজারে আশার রুপোলি রেখা মূলত সফ্ট স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্ল (সফ্ট এসইউভি)। পাহাড়ের পাকদণ্ডী বা জঙ্গলের এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা নয়, শহুরে বা পিচের ভাল রাস্তায় দৌড়তেই যা বেশি উপযোগী। কিন্তু বিক্রি বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে সেই শিবরাত্রির সলতে হাতে না-থাকায় যে তাদের বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তা মেনে নিল টাটা মোটরস। আটটি চালু গাড়ির নতুন সংস্করণ এনে আপাতত সেই খামতি কাটাতেই উদ্যোগী সংস্থা।
বুধবার ওই নয়া সংস্করণগুলির আবরণ উন্মোচনের ফাঁকে এমডি কার্ল স্লিম বলেন, চাহিদায় ভাটার বাজারে হাতে সফ্ট এসইউভি না-থাকা সংস্থাকে ভুগিয়েছে। আগামী দিনে যে সংস্থা এই ঘাটতি পূরণের পথে পা বাড়াবে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন কর্তারা।
উল্লেখ্য, যাত্রী গাড়ির বাজারে বরাবরই টাটা মোটরসের অন্যতম শক্তি এসইউভি। কিন্তু সম্প্রতি মূলত সফ্ট এসইউভি-র হাত ধরেই এ ক্ষেত্রে তাকে কড়া প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছে মহীন্দ্রা, রেনো-র মতো সংস্থা। তাই সেই বাজার পুনর্দখলের জন্য টাটারা যে ফের ঝাঁপাবে, তা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্লিম এবং যাত্রী গাড়ি বিভাগের প্রেসিডেন্ট রঞ্জন যাদবও জানাচ্ছেন, ২০২০ পর্যন্ত যে-দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে বেশ কিছু নতুন মডেল আনার কথা রয়েছে। আপাতত স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে চালু গাড়ির নতুন সংস্করণ বাজারে আনছেন তাঁরা। সংস্থার কর্তা তথা ন্যানো তৈরির অন্যতম কারিগর গিরীশ ওয়াঘ জানান, ডিজেল-চালিত ন্যানো আনারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এ দিন সংস্থাটি যে-গাড়িগুলির নতুন সংস্করণ আনল, তার মধ্যে আছে ন্যানো, ইন্ডিগো-ইসিএস, সুমো গোল্ড ইত্যাদি। সংস্থার দাবি, এই সব নয়া মডেলে এক গুচ্ছ বিশেষ সুবিধা রয়েছে। যা বিশেষত নতুন প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হবে। গবেষণা ও নতুন গাড়ি তৈরির জন্য গত অর্থবর্ষে ৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছিল টাটা মোটরস। স্লিম জানান, এ বছরও অঙ্কটা একই থাকছে। যার মধ্যে ১৬০০ কোটি খরচ হবে যাত্রী গাড়ির জন্য। বাকিটা বাণিজ্যিক গাড়িতে। |