একটি জমি চন্দননগর পুর নিগম এলাকায় এলআর পর্চায় রেকর্ড আছে বাগান হিসেবে। জমিটির আইনানুগ মালিকানা আমার। জমিটি বসতিপূর্ণ এলাকায়। জমির চরিত্র বদল না-করেই আমি বাড়ি করার জন্য ২০০৭ সালে বিল্ডিং প্ল্যান পুর নিগমের কাছে পেশ করি ও তা মঞ্জুর হওয়ার পর এক তলা বাড়ি করি। এখনও পর্যন্ত পুর কর এবং জমির খাজনা (বাগান হিসেবে) যথাযথ অফিসে জমা দিই।
এখন ওই জমির চরিত্র বদলের ঝক্কি নেওয়া সম্ভব নয়। তা না-করলে ভবিষ্যতে কী কী সমস্যায় পড়তে হবে? তা ছাড়া বাড়িটি দোতলা করলে পুর আইনে আটকাবে কি?



উত্তর: যেহেতু ২০০৭ সালে আপনি বাড়ি তৈরির নকশা পুর নিগমের কাছে পেশ করেছিলেন ও তা মঞ্জুর হয়, অতএব ধরে নিতে হবে ওই বাগান এলাকায় বাড়ি তৈরির অনুমতি পুর নিগম আপনাকে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নিগম আপনার কাছে থেকে পুর কর ও জমির খাজনাও নিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আপনার কোনও সমস্যা নেই। তবে দোতলা করতে গেলে পুর আইনে আটকাবে। তাই সে জন্য আপনাকে আগে পুর নিগমের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

আমার বর্তমান বাড়িতে প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। বাড়িটি দাদুর নামে (মায়ের বাবা)। মা ১৯৯২ সালে মারা গিয়েছেন। দাদু-দিদিমাও মারা গিয়েছেন। বর্তমানে মামা, মামি, তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাঁরা অন্য বাড়িতে থাকেন। এখন বাড়িতে আমি, বাবা, আমার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে থাকি। মিউনিসিপ্যালিটি ট্যাক্সও আমার নামেই জমা দিই।
১) ওই বাড়িটি আমার নামে করতে গেলে কী কী করতে হবে?
২) মামা কি ভবিষ্যতে ওই বাড়ির দখল নিতে পারেন?



উত্তর: ১) ওই বাড়িতে আপনি ৪০ বছর ধরে বাস করছেন। এবং বাড়িটি আপনার দাদুর নামে নথিবদ্ধ। সুতরাং বাড়িটিতে আপনার অধিকার নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে ওই বাড়িতে আপনার মামারও অধিকার আছে। তাঁরা অন্য জায়গায় বসবাস করলেও এবং মিউনিসিপ্যালিটি ট্যাক্স (পুর কর) আপনার নামে জমা দেওয়া হলেও। অর্থাত্‌ যা-ই হোক না-কেন, বাড়ির উপর আপনার মামার অধিকারও অনস্বীকার্য। কাজেই মামার অমতে তা আপনার নামে করা কঠিন। সে ক্ষেত্রে মামাকে তাঁর অংশ দানপত্র করে আপনাকে দিয়ে যেতে হবে।
২) যেহেতু মামার অধিকার ওই বাড়িতে রয়েছে, তাই তিনি তাঁর ভাগের অংশটি দাবি করতে পারেন।
(পরামর্শদাতা আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়)

রিডিমেব্‌ল কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ারের টাকা কি সঠিক সময়ে ফেরত পাওয়া যায়? কখন কোনও কোম্পানি এই শেয়ার বিক্রি করতে পারে? প্রেফারেন্স শেয়ার ও রিডিমেব্‌ল কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ারের মধ্যে তফাত কী?


উত্তর: শেষ প্রশ্নের উত্তরটা আগে দিচ্ছি। সাধারণ প্রেফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে টাকা ফেরতযোগ্য নয়। তবে সংস্থা মুনাফা থেকে আগে প্রেফারেন্স শেয়ারে ডিভিডেন্ড দিতে বাধ্য। তার পর অন্যদের ডিভিডেন্ড দেওয়া যাবে।
রিডিমেব্‌ল কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে টাকা ফেরতযোগ্য (রিডিমেব্‌ল)। ফেরতের নির্দিষ্ট সময়ও থাকে। আইন অনুযায়ী সেই সময়ের মধ্যেই তা দেওয়া উচিত। তবে অনেক কোম্পানি মুনাফা হয়নি, এই যুক্তিতে টাকা ফেরতের সময় পিছিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মুনাফা হওয়ার পর ‘কিউমুলেটিভ’ অর্থাত্‌ ক্রমপুঞ্জীত মুনাফার ভিত্তিতে তা ফেরত দিতে হয়। এক ধরনের প্রেফারেন্স শেয়ার বলে ডিভিডেন্ড দেওয়ার অগ্রাধিকারও থাকে এতে।
এ বার প্রথম প্রশ্নের উত্তর। আগেই বললাম রিডিমেব্‌ল কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে কোম্পানি চাইলে বা যথাযোগ্য লাভ না-হলে মূল টাকা ফেরত দেওয়ার সময়সীমা বাড়াতে পারে। তবে প্রেফারেন্স শেয়ার বলে ডিভিডেন্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকে। সুতরাং নির্দিষ্ট সময়ে টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারটা সংস্থার উপর নির্ভর করছে। তাই ভাল কোম্পানি বেছে তবেই লগ্নি করা উচিত।
একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। ইদানীং কিছু নাম করা কোম্পানি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের (সংস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল লগ্নিকারীদের জন্য শেয়ার ইস্যু) মাধ্যমে ৩ বা ৫ বছরের জন্য এই জাতীয় শেয়ার ইস্যু করছে, নির্দিষ্ট রিটার্ন সাপেক্ষে। অন্য দিকে কিছু চিটফান্ডও এই পথে নেমেছে। তাই সব দিক যাচাই করে লগ্নি করবেন।
(পরামর্শদাতা শেয়ার বিশেষজ্ঞ অজিত দে)


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.