বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে করা আবেদন ফিরিয়ে নিচ্ছেন অসমের জঙ্গি সংগঠন আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া। বাংলাদেশের সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজশাহি জেলে বন্দি চেটিয়া এই মর্মে একটি চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারকে। তাতে দুই অনুগামী -সহ ভারতে ফিরে যাওয়ার অনুমতিও চেয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।
চেটিয়া ১৯৯৭ সালে ঢাকার একটি আশ্রয় থেকে গ্রেফতার হন। বাংলাদেশে বেআইনি ভাবে বসবাস, জাল পাসপোর্ট ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অপরাধে তাঁর সাত বছর কারাদণ্ড হয়। ২০০৪ -এ কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ ও নানা গুরুতর অপরাধে বিচারের জন্য তাঁকে দেশে ফেরানোর দাবি জানাতে থাকে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে ঢাকার কোনও সরকারই চেটিয়ার আবেদনে সিলমোহর লাগায়নি। কিন্তু তাঁকে রাজশাহি জেলেই নিরাপদ হেফাজতে রেখে দেওয়া হয়। তাঁর দুই সহচরও সেখানে রয়েছেন। ইতিমধ্যে ২০১০ -এ পরেশ বরুয়া ছাড়া আলফার প্রায় সব প্রধান নেতা আত্মসমর্পণ করে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। চেটিয়ার সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করেন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে মে মাসে চেটিয়া রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে করা আগের আবেদন ফেরত চেয়ে ঢাকার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চেটিয়া চিঠিতে লিখেছেন, জেলে থাকা দুই সহচর লক্ষ্মীপ্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে এ বার তিনি দেশে ফিরতে চান। সরকার যেন তার অনুমতি দেন। ২১ মে কারা মন্ত্রক চেটিয়ার চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সূত্র জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ সরকার চেটিয়ার এই দেশে ফেরার আবেদন ঝুলিয়ে রাখার পক্ষপাতী নন। কারণ চেটিয়া দেশে ফিরলে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি বকেয়া সমস্যার মীমাংসা হয়ে যাবে। চেটিয়া ধরা পড়ার সময়ে দু’দেশের মধ্যে সে সময়ে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ঢাকা চাইলেও এই আলফা নেতাকে ভারতে পাঠাতে পারছিল না। চেটিয়ার চিঠিতে সেই বরফ গলতে পারে।
|