শাসক গোষ্ঠীর সন্ত্রাসে বছর খানেক ধরে বন্ধ পাঁচটি কার্যালয়, যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশও, এসব অভিযোগ তুলে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডাকল সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটি।
জামুড়িয়ায় দলীয় কার্যালয়ে জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্তের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে কুনস্তরিয়া কোলিয়ারি, শ্যামলা কোলিয়ারি এবং খোট্টাডিহি খোলামুখ খনিতে সিটুর শাখা কার্যালয়, নিউ কেন্দায় দলীয় আঞ্চলিক কার্যালয় এবং চুরুলিয়ায় দলীয় শাখা কার্যালয় তাঁরা খুলতে পারছেন না। তৃণমূলের সমর্থকেরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এছাড়া পঞ্চায়েত স্তরে ২৮ জন এবং পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
মনোজবাবুর অভিযোগ, ৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত ২৬টি মারধরের ঘটনা ঘটেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে ধরেনি বলে জানান তিনি। ছ’জন কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। পুলিশকে দু’বার ডেপুটেশন দিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি। তাঁর দাবি, কেন্দা, বেলবাঁধ এবং নর্থ সিহারশোল খোলামুখ খনি থেকে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে কয়লা চুরি করে পাচার করা হচ্ছে। বৈজন্তীপুরে বেসরকারি খনি এবং বেনালীতে অবৈধ কয়লা খাদানও রমরমিয়ে চলছে বলে তাঁর অভিযোগ। এছাড়া ভোটের আগে সন্ত্রাস ছড়াতে ঝাড়খণ্ড এবং বীরভূম থেকে কয়েকশো ‘ম্যাসল ম্যান’ তৃণমূল এনেছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তাঁর দাবি, তাদের মাধ্যমে প্রচুর বেআইনি অস্ত্র মজুত করেছে তৃণমূল। মনোজবাবু বলেন, “সমস্ত বিষয় লিখিত আকারে আবার আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছি।” |