গরমের ছুটিতে জন্ডিস হয়েছিল। তাই ছুটির পড়া করতে পারেনি সে। সেই ‘অপরাধে’ ইংরেজির শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠল আসানসোলের ওল্ড স্টেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে। বুধবার এই ঘটনা ঘটে। পরে প্রহৃত ছাত্র পঞ্চম শ্রেণির অনীক রায় সমাজদারকে হাসপাতালে ভর্তি করান বাবা-মা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে
|
অনীক রায় সমাজদার।
—নিজস্ব চিত্র। |
যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সাউ।
বুধবার বিকেলে অনীকের বাবা তরুণ সমাজদার অভিযোগ করেন, এ দিন স্কুলের শ্রেণিকক্ষে তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মেরেছেন ইংরেজির শিক্ষক। স্কুল ছুটির পর তাঁর স্ত্রী ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে তার হাত পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। বাড়ি ফিরে ছেলে তাঁদের সব জানায়। তাঁরা তাকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তি করে নেন। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের সুপার নিখিল দাস জানান, দেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ওই ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বেত জাতীয় কিছু দিয়ে তাকে মারা হয়েছে। তার হাত, পায়ে কালসিটে পড়ে গিয়েছে। এখন সে সুস্থ।
তরুণবাবু জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে তাঁর ছেলে জন্ডিসে ভুগছিল। গরমের ছুটি পড়ার অনেক আগে থেকেই সে স্কুলে যেতে পারেনি। তরুণবাবুর দাবি, সে বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছিলেন। স্কুলে যেতে না পারায় গরমের ছুটিতে ইংরেজি শিক্ষক বাড়ির কাজ কী দিয়েছেন, তা অনীক জানত না। তিনি বলেন, “বুধবার ইংরেজি শিক্ষককে অসুস্থ থাকায় পড়া করতে পারেনি বলে জানিয়েছিল আমার ছেলে। কিন্তু সে কথায় কান না দিয়ে ওই শিক্ষক তাকে মারধর করেছেন।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সাউ জানান, ঘটনার সময়ে তিনি স্কুলে ছিলেন না। পরে গোটা বিষয়টি জেনেছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমি যতদূর জেনেছি, এটা এমন কিছু বড় ব্যপার নয়। ওই ছাত্র ইংরেজি শিক্ষকের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছে। তাই শিক্ষক তাকে সামান্য শাসন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে।” |