সাইকেলই জীবন ছিল তাঁর। সাইক্লিস্ট হিসাবে বাংলা এবং জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পর প্রায় কুড়ি বছর নানা সময় ভারতীয় দলের কোচও ছিলেন। সেই সাইক্লিস্ট কোচ রুমা চট্টোপাধ্যায় মারা গেলেন সাইকেল চালাতে চালাতেই। মঙ্গলবার ভোরে নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনুশীলন করার সময় জিপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর বটতলার বাসিন্দা রুমা। জিপটিকে রাতে আটক করেছে পুলিশ। আজ, বুধবার সকালে কলকাতায় আনা হবে বাংলার এই অ্যাথলিটের মরদেহ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রুমার পরিবারকে। বাংলার এই নামী অ্যাথলিট কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন।
দিল্লির জাতীয় শিবিরে ১৪ মে যোগ দিয়েছিলেন। দল নিয়ে রুমার যাওয়ার কথা ছিল গ্লাসগোয়, বিশ্ব সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপে। বছর পঞ্চাশের অবিবাহিত রুমা জুনিয়র মহিলা দলের কোচ ছিলেন। দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়াম থেকে প্রত্যেক দিনের মতো ভোর পাঁচটায় ২০-২২ জন সাইক্লিস্টকে নিয়ে রুমা-সহ বাকি চার কোচ অনুশীলন শুরু করেছিলেন। নয়ডার পরি চক পর্যন্ত পৌঁছেও গিয়েছিলেন। রুমা ছিলেন সবার শেষে। সকাল সওয়া ছটা নাগাদ নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে পেছন থেকে এসে একটি গাড়ি চাপা দেয় রুমাকে। আহত রুমাকে নিয়ে যাওয়া হয় নয়ডার কৈলাশ হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে রুমার।
কলকাতার ভিএসএনএলের অফিসে কর্মরত ছিলেন রুমা। এ দিনই রুমার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রুমার কফিন বন্দি দেহ মঙ্গলবারই কলকাতায় এসে পৌঁছবে, এ রকম মনে করা হচ্ছিল। অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর মা ও পরিজনরা। ছিলেন রাজ্যের সাইক্লিস্ট কর্তারা ছাড়াও ময়দানের বিভিন্ন খেলার লোকজন। কিন্তু রাতে জানা যায়, কাগজপত্র তৈরি না হওয়ায় বুধবার সকালে দেহ আনা হবে। |