|
|
|
|
প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে গরহাজির বেশিরভাগ প্রার্থী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রার্থী সব মিলিয়ে ৩৪৪ জন। প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে এলেন মাত্র ৫২ জন। অর্থাৎ, ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জন তৃণমূলের। ঘটনায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে প্রশাসনের অন্দরেই। এক আধিকারিকের বক্তব্য, ব্লকস্তরে এই সময়ে যে বৈঠকগুলো হয়, সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই বৈঠকেই প্রার্থীরা কী করতে পারেন, আর কী পারেন না, তা জানানো হয়। কোনও সমস্যা থাকলে তা নিয়েও আলোচনার সুযোগ থাকে বৈঠকে। যাঁদের সুবিধের কথা ভেবে বৈঠক, তাঁরাই যদি না থাকেন, তা হলে বড়ই মুশকিল!
ত্রি-স্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক হয় শালবনিতে। স্থানীয় কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই বৈঠকে ছিলেন ব্লক পর্যবেক্ষক আব্দুস সামাদ দেওয়ান, বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস, আইসি বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ। শালবনিতে ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে মোট প্রার্থী ৩৪৪ জন। গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭১, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৬ এবং জেলা পরিষদে ৭ জন প্রার্থী আছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূলের ১৩৪, সিপিএমের ৭৪, সিপিআইয়ের ৯, কংগ্রেসের ৭, বিজেপির ১ এবং নির্দল প্রার্থী ৪৬ জন। পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬ জনের মধ্যে তৃণমূলের ৩০, সিপিএমের ২২, সিপিআইয়ের ২, কংগ্রেসের ৫ এবং নির্দল ৭ জন। আর, জেলা পরিষদের ৭ জনের মধ্যে তৃণমূলের ২, সিপিএমের ২, কংগ্রেসের ১ ও নির্দল ২ জন।
মনোনয়ন-পর্ব শেষে প্রতিটি ব্লকেই প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক হয়। প্রার্থীদের সমস্যা থাকলে, তা নিয়ে যেমন আলোচনা হয়, তেমনই পুলিশ-প্রশাসন কিছু পরামর্শ দেয়। জানানো হয়, এই সময়ে প্রার্থীরা কী করতে পারেন, আর পারেন না। কী কী বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু, বৈঠকে হাজির প্রার্থীর সংখ্যা দেখে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে প্রশাসনের অন্দরে।
কেন এমন পরিস্থিতি? তৃণমূলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহের কথায়, “আমাদের বেশ কয়েক জন বৈঠকে গিয়েছিলেন। বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।” জানা গিয়েছে, বৈঠকে বিরোধী দলের বেশ কয়েক জন প্রার্থী অভিযোগ করেন, বিভিন্ন এলাকায় শাসক দলের মোটর বাইক বাহিনী গ্রামে গ্রামে টহল দিচ্ছে। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের বক্তব্য, প্রার্থীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তবে, এ সব ছাপিয়ে সামনে উঠে আসছে হাজিরার বিষয়টিই। |
|
|
|
|
|