|
|
|
|
বেআইনি নির্মাণের নালিশ, ভাঙচুর চলল চুঁচুড়ার স্কুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে বেসরকারি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবনির্মিত ভবনে ভাঙচুর চালাল জনতা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া এলাকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ক্লাস শুরু হতেই এলাকার বেশ কিছু লোক লোহার রড, লাঠি, ইট নিয়ে স্কুলে চড়াও হয়। জানলার কাচ ভাঙা হয়। চেয়ার-টেবিল উল্টে দেওয়া হয়। খুলে ফেলা ব্ল্যাকবোর্ড, সিলিং পাখা। স্কুলের কয়েক জন কর্মীকে হাতের সামনে পেয়ে চড়চাপড় মারে তারা। পড়াশোনা লাটে ওঠে। হুলুস্থুল দেখে খুদে পড়ুয়ারা ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নতুন ভবনটি তৈরি হচ্ছে ইমামবাড়া ওয়াকফ বোর্ডের জমির উপরে। এই জমি বেচাকেনা করা যায় না। বাণিজ্যিক প্রয়োজনেও ব্যবহার করা যায় না। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। |
ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র। |
মামলা চলাকালীন স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবন তৈরির কাজ চালাতে থাকে। কিছু দিন অবশ্য কাজ বন্ধ ছিল। অভিযোগ, এ দিন সকাল থেকে ফের কাজ শুরু হয়। তাতেই খেপে ওঠে জনতা। ইমামবাড়া ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য মির্জা সাজিদ আলি বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ওই কাজ করছে। জায়গাটি ওয়াকফ বোর্ডের অধীন।”
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁদের দাবি, আইন মেনেই ভবন তৈরি হচ্ছে। পরিচালন কমিটির সদস্য ইমাম আলি বলেন, “পুরনো ভবনের পাশেই জমি কিনে পুরসভার সব নিয়ম মেনে ভবনটি তৈরি হচ্ছে। এক তলার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই সেখানে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। অকারণেই কিছু লোক ঢুকে সব তছনছ করে দিল।”
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সব কাগজ জমা দেন, তাতে কিছু ভুল-ত্রুটি থাকায় আমরা সংশোধন করে ফের জমা দিতে বলি। নতুন ভবনের বাড়তি অংশ ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ দিন নতুন করে কাজ হচ্ছিল কিনা, খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|