|
|
|
|
পদ পূরণের নয়া নিয়মে ক্ষোভ আয়কর দফতরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আয়কর দফতরে শূন্য পদ পূরণের নয়া নিয়ম বা ‘ক্যাডার’ পুনর্গঠন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে দুর্ভোগ বাড়বে আয়করদাতাদের। এই অভিযোগ তুলে আয়কর অফিসার সংগঠনের দাবি, পুনর্গঠনের ফলে যথেষ্ট কঠিন হয়ে উঠবে বাড়তি কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কাজও।
১২ বছর পরে এ বার আয়কর দফতরের ক্যাডার পুনর্গঠন হতে চলেছে। ইনকাম ট্যাক্স গেজেটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পশ্চিমবঙ্গ ইউনিট) বক্তব্য, তাঁরা এই প্রক্রিয়ার বিরোধী নন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যা প্রস্তাব ছিল, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরে তা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। সংগঠনের কর্তা ভাস্কর ভট্টাচার্য ও মৃণালকান্তি চন্দের দাবি, অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার (এসি) ও ডেপুটি কমিশনাররাই (ডিসি) মূলত কর আদায়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। এখনই এ ক্ষেত্রে প্রায় ৫৫০টি পদ খালি রয়েছে। নতুন পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় পাঁচ বছর ধরে এসি-ডিসির পদ পূরণের যে-প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তাতে সেই শূন্যস্থান তো ভরবেই না, বরং তা বেড়ে কমপক্ষে ৬০০ হয়ে যাবে। তাঁদের অভিযোগ, অথচ ২০০১ সালে এক বছরেই এই দুই পদের পুনর্গঠন হয়েছিল। সংগঠনের বক্তব্য, এ বারও চিফ কমিশনার ও কমিশনার পদে এবং এসি-ডিসির নীচের পদগুলি এক বছরেই পুনর্গঠন করা হবে। এসি-ডিসির পদ খালি থাকলে কর আদায়ের পরিকাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে করদাতাদের যথাযথ পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি যেমন ব্যাহত হতে পারে, তেমনই যথাযথ পরিকঠামোর অভাবে কালো টাকার হদিস পাওয়ার প্রক্রিয়াও বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। সংগঠনের অভিযোগ, বাড়তি কর আদায় তো দুর অস্ত্, উল্টে এই পুনর্গঠনের জন্য বছরে সরকারের যে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হবে, তাতে পরিষেবার মানোন্নয়ন নিয়েই সার্বিক ভাবে সংশয় রয়েছে। |
|
|
|
|
|