দু’মাসের বেশি লকআপে থাকলেও ‘দাপট’ কমেনি মাঠপুকুর কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাওয়ের। সোমবার আলিপুর আদালতের লকআপে বসেই কলকাতা পুলিশের অফিসারদের গালিগালাজ করলেন তিনি। ছাড়া পাওয়ার পরে তাঁদের ‘দেখে নেওয়া’-র হুমকিও দিলেন।
জেলে থাকাকালীন আগেও তাঁর বিরুদ্ধে জেলকর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। এক পুলিশকর্তা এ দিন বলেন, “আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না যে খুনের অভিযুক্ত আমাদের হুমকি দিচ্ছে।”
গত মার্চ মাসে ধাপা-মাঠপুকুরে বহুতল নির্মাণকে ঘিরে এক সংঘর্ষে খুন হন তৃণমূল কর্মী অধীর মাইতি। অভিযোগের আঙুল ওঠে স্থানীয় কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও-এর দিকে। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। প্রায় তিন সপ্তাহ পরে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার সিকান্দরপুর থেকে শম্ভুনাথকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানায়, সোমবার শম্ভুনাথকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালতের লকআপে শম্ভুনাথের কাছে চার্জশিটের কপি নিয়ে যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসার। অভিযোগ, তখনই উত্তেজিত শম্ভুনাথ হুমকির সুরে বলেন, জেল থেকে ছাড়া পেলে তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সবাইকে দেখে নেবেন। এর পরে পুলিশ অফিসারদের গালিগালাজ করতে থাকেন তিনি। পরে ফের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার ওসিকেও।
পুলিশের একাংশের দাবি, বারবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। জেলে বসেই তিনি খবর পেয়েছেন, গার্ডেনরিচে পুলিশকর্মী খুনে ধৃত তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না জামিন পেয়েছেন। জেল সূত্রের খবর, তার পর থেকে জেলে বসেই পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করেছেন শম্ভুনাথ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আদালতের লক-আপে গালিগালাজ ও হুমকির ঘটনার পরেই ওই তদন্তকারী অফিসার বিষয়টি জানান সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার শক্তিবাবু বলেন,“এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না।”
|