শ্রমিক-মালিক বিরোধ নিয়ে পাথরভাঙা কারখানার শ্রমিক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল মুরারই থানার রাজগ্রাম এলাকায়। এসইউসিআই প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা রফিকুল হাসানের অভিযোগ, “মঙ্গলবার সকালে মোটরবাইকে রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চলের দিকে যাচ্ছিলাম। মুরারইয়ের আম্বুয়া সাঁওতালপাড়া এলাকায় পাথরভাঙা কারখানার মালিক আশ্রিত কয়েক জন দুষ্কৃতী অন্য একটি বাইকে চাপিয়ে গোপালপুরে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।” দুপুর দেড়টা নাগাদ পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
এসএইউসিআই-এর জেলা সম্পাদক মদন ঘটকের অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ডাবলু শেখের নেতৃত্বে রফিকুল হাসানকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।” এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন কারখানার ক্যাশিয়ার তথা তৃণমূল নেতা জাবলু শেখ। কারখানার মালিক অশোক ভাদনানি বলেন, “৯ দিন ধরে কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু দিন আগে কারখানার শ্রমিক সংগঠনের তরফে মালবোঝাই করতে বাধা দেওয়া হয়। এর ফলে শ্রমিক-মালিক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। যার জন্য সাময়িক ভাবে কারখানা বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।” এ দিন কী ঘটেছে জানা নেই বলে দাবি অশোকবাবুর।
আর এক মালিক রমেশ ভাদনানির দাবি, “রফিকুল গায়ের জোর খাটিয়ে আমাদের কারখানাকে ধ্বংস করতে চাইছে। সম্প্রতি রেলের ৫৩টি ওয়াগন পাথর বোঝাই করতে এসেছিল। তাঁর লোকজন তাতে বাধা দিয়েছেন। এর ফলে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ থেকে রফিকুলের সংগঠনের রাজ্য নেতাকেও জানানো হয়েছে।” রফিকুলের পাল্টা অভিযোগ, “মালিক পক্ষ শ্রমিক সংগঠনকে বাদ দিয়ে বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে। আমাদের সংগঠনের শ্রমিকেরা কাজ পাচ্ছেন না। এই বিরোধ মেটাতে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। অথচ আমাকে মারধর করা হল।” এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি রমেশবাবুর। |