সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তে এইচআইভি আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ চারজনকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আজ অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, সংক্রামিত ওই চারজনের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য সরকারই। একইসঙ্গে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব ভি এস ভাষ্করকে মঙ্গলদৈ হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আজই হাসপাতালের সুপার বিজয় শহরিয়াকেও সাসপেন্ড করে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
গগৈ জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা বিবেচনা করতে তিনি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পি পি বর্মাকে ওই ঘটনার তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, প্রতি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদাতার ডেটাবেস বসবে, থাকবে সিসিটিভি।
মঙ্গলদৈ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জিতেন শহরিয়া, পরীক্ষাগারের টেকনিসিয়ান রঞ্জিৎচন্দ্র ডেকা এবং পদ্মধর বরুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যের ২৭টি জেলার ৬২টি ব্লাড ব্যাঙ্কে নজরদারির জন্য ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন হবে। ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তে এইচআইভি ছড়ানোয় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষোভও চলছে শহরজুড়ে। স্থানীয় সাংসদ রমেন ডেকা দাবি তুলেছেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা যে সব ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রোগী রক্ত নিয়েছেন, তাঁদের সকলের বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। গত কাল মঙ্গলদৈতে অনশনে বসেছিলেন এইচআইভি আক্রান্তরা।
|