বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সৎকারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজনও। তখনই ওই শিশু নাকি নড়ে ওঠে। এরপরে পরিবারের লোকেরা তাকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা অবশ্য শিশুটিকে ফের মৃত বলেই ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফলতির অভিযোগ তুলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও কর্মীদের আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকের অপসারণের দাবিতে তাঁরা পথ অবরোধও করেন। সোমবার নানুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। |
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে জটলা। নানুরে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় স্থানীয় সাকুলিপুরের মুজিবর শেখ নামে বছর চারেকের এক শিশু। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নানুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই শিশুর বাবা ঝন্টু শেখের দাবি, “কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রদীপকুমার দত্ত ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পরে সে নড়ে ওঠে।” এরপর ফের শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার হয় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মুজিবরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপরই সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বোলপুর-নানুর সড়কও তাঁরা অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রদীপবাবুর অবশ্য দাবি, “শিশুটিকে আদৌ মৃত ঘোষণা করা হয়নি। পরীক্ষার পরে প্রয়োজনী চিকিৎসা করে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আমি অন্য রোগীদের দেখতে যাওয়ার সময়ই তার পরিবারের লোকেরা ওই শিশুটিকে নিয়ে চলে যায়।” অন্য দিকে, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, “কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।” |