মদন তামাং হত্যা
আত্মসমর্পণ আরও ১৩ পলাতকের
বে নিজের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের সভার উদ্যোগ শুরু করেছেন। ২০১০ সালের ২১ মে দার্জিলিংয়ের রিংসাইড রোডে দুষ্কৃতীরা গলা কেটে খুন করেন গোর্খা লিগের সভাপতি মদন তামাংকে। সেই ঘটনায় ৩১ জে নর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ১৫ জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ বার আত্মসমর্পণ করলেন আরও ১৩ জন। সকলেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সক্রিয় কর্মী।
এই ১৩ জনই পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’ ছিলেন। এর মধ্যে দু’জন দার্জিলিং পুরসভার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন কাউন্সিলরও রয়েছেন। সোমবার তাঁদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে মোল্লা আসগর আলির এজলাসে তোলা হলে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। অভিযুক্তদের আইনজীবী শেষমণি গুরুঙ্গ বলেন, “বিচারক সকলকে ১৪দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।”
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে তেনজিং খামবাচে, দাওয়া সাঙ্গে শেরপা, নগেন্দ্র প্রধান, কেশর রাই, অরুণ মোক্তান, সঞ্জয় তামাং, ভানু রাই, কমল সিংহ, অমল লামা, সোনা শেরপা, সঞ্জয় সিংহ, মনীশ রাই ও প্রবীণ সুব্বা’রা আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তেনজিং খামবাচে এবং কেশব রাই দার্জিলিং পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। তেনজিং মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও। সোনা শেরপা নারী মোর্চার প্রথম সারির নেত্রী। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি শুধু বলেন, “ওই ঘটনায় চার্জশিটে নাম থাকা ১৩ আত্মসমর্পণ করেছেন। আইনের পথে লড়াই করছি।” গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা হাতে নিয়ে মদন তামাং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ওই ধৃতেরা দীনেশ গুরুঙ্গ, অলককান্ত মণি থুলুঙ্গ, পূরণ থামি, কিসমত ছেত্রী ও কেশবরাজ পোখরেল আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে নিকল তামাং ও দীনেশ সুব্বা এখনও পলাতক। আরও এক অভিযুক্ত দিলকুমার রাই ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে খুন হন। আরও একজন সুরেশ রাই ঘটনার দিনই পুলিশের গুলিতে জখম হন। তিনি মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত নিয়ে এখনও চিকিত্‌সাধীন। নিকল তামাং শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজের সিআইডি-র হেফাজত থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ২০১০ সালের শেষ নাগাদ সিআইডির-র থেকে মামলা সিবিআই-র হাতে যায়। ইতিমধ্যে অবশ্য গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনে মুক্ত অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে মামলাও করেছেন। প্রতাপবাবু বলেন, “খুনিদের কড়া শাস্তির মধ্যে দিয়ে আমরা সুবিচার পাবই।” নিহত নেতার স্ত্রী তথা গোর্খা লিগের সভানেত্রী ভারতী তামাং সুপ্রিম কোর্টে গত বছর খুনের ঘটনার মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের জন্য মামলা করেন। এর পর থেকেই তত্‌পরতা শুরু হয়।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.