|
|
|
|
রাজাকেই সমর্থন জয়ার, বিকল্পে আশাবাদী বাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মত বদলে শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভা নির্বাচনে সিপিআইকে সমর্থন করারই সিদ্ধান্ত নিলেন জয়ললিতা। আগের বার তামিলনাড়ু থেকে যিনি ডিএমকে-র সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সিপিআইয়ের জাতীয় সম্পাদক সেই ডি রাজাই এ বার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন এডিএমকে-র সাহায্য নিয়ে! তবে রাজ্যসভায় একটি আসন ধরে রাখার চেয়েও বড় কথা, আগামী লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সমঝোতার প্রয়াস এর ফলে আরও এক ধাপ এগোল বলে মনে করছে বামেরা।
তামিলনাড়ুর যে ৬টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন আসছে, তার জন্য মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল সোমবারই। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে এ দিন সকালে রাজা এবং সিপিআইয়ের তামিলনাড়ু রাজ্য সম্পাদক ডি পান্ডিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেখা করতে যান। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকেই মনোভাব বদলের কথা জানান এডিএমকে নেত্রী। পরে তিনি ঘোষণা করেন, চার জনকে রেখে এডিএমকে-র পঞ্চম প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। সিপিআই প্রার্থী রাজাকেই ওই আসনটিতে এডিএমকে সমর্থন করবে। ষষ্ঠ আসনটির জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝি। জয়ের জন্য তাঁর অবশ্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক সমর্থন এখনও নেই। জয়ার সৌজন্যে যে কাজ হাসিল করে ফেললেন সিপিআই নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন।
রাজাকে ফের রাজ্যসভায় পাঠাতে গোড়াতেই ‘আম্মা’র সমর্থন চান সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁদের ফিরিয়ে দিয়ে পাঁচটি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন জয়া। যদিও একক ক্ষমতায় পাঁচ জনকে জেতানোর সংখ্যা তাঁর ছিল না। তামিলনাড়ু থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হতে এখন প্রয়োজন ৩৪টি প্রথম পছন্দের ভোট। চার জনকে জেতানোর পরেও এডিএমকে-র হাতে বাড়তি থাকবে ১৫ জন বিধায়কের ভোট। সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১৯ জনের সঙ্গে ওই ১৫ যোগ হলে রাজার জয় নিশ্চিত। সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “পান্ডিয়ানের সঙ্গে আলোচনার ফলেই বরফ গলেছে। রাজা নিজেও কথা বলেছেন। লোকসভা ভোটের আগে এটা ইতিবাচক ঘটনা।”
বাম নেতৃত্বের আশা, রাজ্যসভার সিদ্ধান্তের রেশ বজায় রেখেই লোকসভা ভোটে তাঁদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাবেন জয়া। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্কের খাতিরে জয়াকে পাশে পাওয়ার আশায় রয়েছে এনডিএ-ও। কিন্তু বাম নেতৃত্ব মনে করছেন, সব জেনেও জয়া যখন মত বদলে বামেদের সমর্থন করেছেন, তখন ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে। আবার বিহারে আস্থা ভোটে দলের একমাত্র বিধায়কের সমর্থন দিয়ে নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ)-কে বার্তা দিচ্ছে সিপিআই। তামিলনাড়ু ও বিহার, দুই রাজ্যেই ঘটনাপ্রবাহের লক্ষ্য লোকসভা ভোট। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্টের চেয়ে প্রথম রাউন্ডে আমাদের অগ্রগতি ভাল! নির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা এখন আরও সংহত করতে হবে।”
|
পুরনো খবর: এক বামকে ফেরালেন জয়ললিতা, করুণাকে অন্য বাম |
|
|
|
|
|