নন্দরাম মার্কেটে দমকলের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে কি না, তা ঠিক করতে আগামী ২১ জুন বৈঠক ডাকলেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা ছাড়াও দমকলের ডিজি, এডিজি-সহ পদস্থ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সোমবার ফোরাম অফ ট্রেডাসর্র্ অর্গানাইজেশন অফ পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল জাভেদ খানের সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা দাবি করেন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া হাতিবাগান মার্কেট ও নন্দরাম মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। দমকল ছাড়পত্র না দিলে ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারছে না পুরসভা। তাঁরা অবিলম্বে দমকলের ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি জানান। দমকলমন্ত্রী জানান, সব নিয়ম মানা হয়েছে কি না তা দেখেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। |
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “হাতিবাগান মার্কেট পুড়ে যাওয়ার পরে দমকলের পক্ষ থেকে হাইড্র্যান্ট তৈরির কথা বলে হয়েছিল। কলকাতা পুরসভা সেই হাইড্র্যান্ট তৈরির কাজ শুরু করে। হাইড্র্যান্ট না হলে দমকলের ছাড়পত্র পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াও আটকে গিয়েছে। নন্দরাম মার্কেটের ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা। মন্ত্রীকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। তিনি ২১ জুন বৈঠক ডেকেছেন।” রবীন্দ্রনাথবাবু আরও বলেন, “নন্দরাম মার্কেটে আগুন লাগার পর থেকে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে ওই মার্কেটের অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্টও দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে পুরসভা এবং দমকল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের আবেদন, ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স এবং দমকলের ছাড়পত্র দিন।” দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “আমার কাছে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক জন প্রতিনিধি এসেছিলেন। তাঁরা নন্দরাম মার্কেট এবং হাতিবাগান মার্কেট নিয়ে কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। আমি ২১ জুন বৈঠক ডেকেছি। ফায়ার লাইসেন্স নিতে হলে দমকলের নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা দেখা হবে।” |