একের পর এক শিক্ষক-অধ্যাপক কেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছেন, সব স্তরেই সেই প্রশ্ন উঠেছে। উদ্বিগ্ন আচার্য-রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনও। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্সির উপাচার্য মালবিকা সরকার সোমবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
যাত্রা শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাত জন শিক্ষক ইস্তফা দিয়েছেন। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। কেন এমন হচ্ছে, টেলিফোনে উপাচার্যের কাছে তা জানতেও চান তিনি। কিন্তু ফোনে সব কথা বিস্তারিত ভাবে জানানো সম্ভব নয় বলেই মালবিকাদেবী এ দিন রাজভবনে যান। কোন কোন বিভাগের, কোন বিষয়ের কত জন শিক্ষক কী কারণে ইস্তফা দিয়েছেন, রাজ্যপালের কাছে সবই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেঞ্জামিন জাকারিয়ার ইস্তফা দেওয়ার কারণও রাজ্যপালকে জানান মালবিকাদেবী। সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় জাকারিয়া ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বলে খবর। অন্য শিক্ষকদের কেউ বেতনের ব্যাপারে আশাহত হয়ে, কেউ বা কাজের প্রত্যাশিত সুযোগ না-পেয়ে প্রেসিডেন্সি ছেড়ে গিয়েছেন।
চার মাসে প্রেসিডেন্সি ছেড়ে গিয়েছেন সাত জন শিক্ষক। বাংলার শিক্ষক প্রকাশ মাইতি ২৭ মে ইস্তফা দেন। ৪ জুন পদত্যাগপত্র দাখিল করেন শারীরবিদ্যার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সুদীপ্ত সরস্বতী। সমাজবিদ্যার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শমিত করও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যার তিন শিক্ষক আগেই প্রেসিডেন্সি ছেড়েছেন। রাশিবিজ্ঞানেরও এক শিক্ষক সম্প্রতি ইস্তফা দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। বিভিন্ন বিভাগের আরও কয়েক জন শিক্ষক বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। তাঁদের কেউ কেউ পদত্যাগীদের পথে হাঁটতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা। |