ফের সাউথ সিটির বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। সোমবার সন্ধ্যার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম রুশা মুখোপাধ্যায় (১৬)। সে তার পরিবারের সঙ্গে ওই আবাসনেরই চার নম্বর টাওয়ারে ২১ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকত। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে গল্ফ গার্ডেনের বাসিন্দা মুকুতা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবার ওই আবাসনের একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি রাতে একটি টাওয়ার থেকে পড়ে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় কৌশিক দে নামে এক যুবকের।
কী ঘটেছিল এ দিন?
পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশ সূত্রের খবর, রুশার বাবা শঙ্কর চক্রবর্তী মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত। তিনি এখন জাহাজে রয়েছেন। বাড়িতে মা তিথিদেবী ছাড়াও রুশার যমজ বোন মেঘা থাকে। এ দিন বিকেলে রুশা পরিবারের বাকিদের সঙ্গে দিদি পায়েলের ছেলেকে দেখতে পিয়ারলেস হাসপাতালে গিয়েছিল। ফিরে এসে মেঘা পড়তে বেরিয়ে যায়। তিথিদেবী ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎই তিনি খেয়াল করেন, রুশা বাড়িতে নেই। খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, টাওয়ারের সামনে রিসেপশন অফিসের ছাদের উপরে রুশা পড়ে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাটের গ্রিলবিহীন জানলা গলেই নীচে পড়ে যায় রুশা। |
সাউথ সিটি থেকে বার করে আনা হচ্ছে মৃতদেহ। —নিজস্ব চিত্র |
পুলিশের এক কর্তা জানান, রুশা দীর্ঘদিন ধরে অটিজমে আক্রান্ত ছিল বলে তার পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া, মানসিক অবসাদেও ভুগছিল সে। এ দিন সকালেও রুশাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এটি নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা কি না, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই পুলিশকর্তা। তিনি শুধু বলেন, “রাত পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।” পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী রুশা প্রাইভেটে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
রুশার পরিবারের সদস্যেরা কেউ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাও। তবে চার নম্বর টাওয়ারের দশতলার এক বাসিন্দা অবশ্য জানান, তিনি রুশাকে আগে দেখেছেন।
তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও চিনতেন। তিনি বলেন, “শঙ্করবাবু মাসখানেক আগে বাড়ি ছেড়ে জাহাজে গিয়েছেন। পুজোর সময়ে তাঁর ফেরার কথা ছিল।” |