পবনহংসই ছোট বিমান চালাবে কোচবিহার রুটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খুব তাড়াতাড়ি তারা কলকাতা ও কোচবিহারের মধ্যে ছোট বিমান চালাবে বলে জানাল হেলিকপ্টার সংস্থা পবনহংস। রবিবার কলকাতায় একটি ১০ আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করেছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আকাশপথে পাখির চোখে নগরদর্শনের সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ। তবে কবে এবং কোথা থেকে ওই ‘জয়-
|
পবনহংস হেলিকপ্টার |
রাইড’ বা বিনোদন-উড়ান শুরু হবে, তা পরিষ্কার করে ঘোষণা করা হয়নি।
কোচবিহারে ছোট বিমান ওঠানামার পরিকাঠামো প্রস্তুত। কিন্তু এখন সেখানে কোনও বিমান ওড়ে না। এই অবস্থায় কলকাতা-কোচবিহার উড়ান নিয়ে কী ভাবছে পবনহংস? ওই সংস্থার জিএম (মার্কেটিং) সঞ্জয় কুমার জানান, খুব তাড়াতাড়ি একটি ছোট বিমান ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সেটিকেই কলকাতা-কোচবিহার রুটে চালানো হবে।
এ দিন কলকাতায় তাদের হেলিকপ্টারের সূচনা-উড়ানে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পবনহংস। ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্যটনসচিব বিক্রম সেন এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থও। ইতিমধ্যেই তিনটি সংস্থা কলকাতা থেকে হেলিকপ্টার চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু ‘জয়-রাইড’-এর ব্যবস্থা করে যে বাণিজ্যিক ভাবে সফল হওয়া সম্ভব নয়, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তার উপরে বিনোদন-উড়ানেও নিয়মিত লোক পাওয়া মুশকিল। ১০ মিনিটের বিনোদন-উড়ানে যাত্রী-পিছু ভাড়া ১৭০০ টাকা। অভিজ্ঞদের বক্তব্য, যথাযথ পর্যটন ও শিল্প পরিকাঠামো ছাড়া হেলিকপ্টার পরিষেবা সফল হতে পারে না। |
বিনোদন উড়ান। পবনহংস হেলিকপ্টার থেকে তোলা চৌরঙ্গি। রবিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
|
ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে কী করছে রাজ্য সরকার?
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “রাতারাতি সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব নয়। রাজ্যের পর্যটন দফতর এ ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তাঁর আশা, বাণিজ্যের স্বার্থেই বিভিন্ন জেলায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হবে। পবনহংসের তরফে সঞ্জয় কুমার বলেন, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী আমরা এই পরিষেবা চালু করে দিলাম। আশা করি, জয়-রাইড ছাড়াও নিয়মিত হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া হবে। অসুস্থ মানুষকে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা এবং পর্যটনের জন্যও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।”
|