মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আসেনি সফটওয়্যার |
তৈরি হয়েছিল নেট ব্যবহারে উৎসাহী মুখ্যমন্ত্রীর কথা মাথায় রেখেই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য হাতের মুঠোয় রাখার সফটওয়্যার। অথচ ছ’মাস আগে তৈরি হলেও তাঁর হাতে পৌঁছয়নি এই প্রজেক্ট মনিটরিং সিস্টেম।
তবে গোটা উদ্যোগ জলে যায়নি। সফটওয়্যারটি কাজে লাগানোয় আগ্রহ দেখিয়েছে অন্যান্য দফতর। প্রয়োজন মতো সফট্ওয়্যারে রদবদল করার প্রাথমিক কাজও শুরু করেছে হিডকো। স্টেট ই-গভর্ন্যান্স মিশন টিমের তৈরি এই সফটওয়্যার নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে পূর্ত দফতরও। যে-সব দফতরে প্রকল্প সংখ্যা বেশি, সেখানে এই প্রযুক্তি লাভজনক।
প্রজেক্ট মনিটরিং সিস্টেম বা পি এম এস-এর নামের মধ্যেই ধরা রয়েছে এর বৈশিষ্ট্য। উচ্চপর্যায়ের নজরদারির মাধ্যমে একনজরে একগুচ্ছ প্রকল্পের হাল দেখে নেওয়া যাবে এর সাহায্যে। প্রকল্পের ঝুঁকি বোঝাতে ব্যবহার করা হচ্ছে লাল, হলুদ ও সবুজ রং। যে-প্রকল্পে দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, তার রং লাল। ঠিক তার পরেই আসবে হলুদ। সবুজ চিহ্নিত প্রকল্পের অর্থ, তা পরিকল্পনা মাফিক চলছে।
কর্পোরেট মহলের সংজ্ঞায় এই নজরদারি হল ড্যাশবোর্ড রিপোর্টিং। নজরদারির জন্য নিয়মিত তথ্য জোগাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর। ফাইল চালাচালি নয়। শুধু মাউসে ক্লিক করেই জেনে নেওয়া যাবে কোন প্রকল্প কোথায় দাঁড়িয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে শিল্পমহলের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ডু ইট ইমিডিয়েটলি।” মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত টুইট পড়েন। ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে। প্রচারে ব্যবহার করেছেন হটমেল নির্মাতা সাবির ভাটিয়ার দক্ষতা। তবুও সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, আমলাতন্ত্রের জালেই তাঁর হাতে পৌঁছয়নি এই সফট্ওয়্যার।
তবে কেন্দ্রের ‘মিশন মোড প্রজেক্টস’-এর কাজের খতিয়ান দিতে কিছুটা এই সফট্ওয়্যারের ধাঁচেই ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্পে নজরদারি শুরু হয়েছে গত বছর। ভূমি ও ভূমি সংস্কার, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পঞ্চায়েত, অর্থ দফতরের বিভিন্ন ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্প কেন্দ্রের টাকায় চলছে। মাঝে মধ্যেই সে কাজের খতিয়ান চাইছে কেন্দ্র। সেই জন্যই চালু হয়েছে এই নজরদারি। |