গত বছর পর্যন্তও গোয়ার ক্লাব থেকে সেখানকার ভূমিপুত্র ফুটবলার আনতে ব্যর্থ হয়েছিলেন কলকাতার ক্লাবের কর্তারা। এ বার সেখানে উলট পুরাণ!
এ বার জোয়াকিম আব্রাঞ্চেজকে সই করিয়ে প্রথম চমক দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান পাল্টা দিল জোড়া চমক। ডেম্পোর স্টপার রোয়িলসন রডরিগসকে শুক্রবারই সই করিয়েছিল সবুজ-মেরুন। শনিবার বাগানে যোগ দিলেন এমন এক জন অভিজ্ঞ ফুটবলার, যিনি ডেম্পোর হয়ে চার-চারটি আই লিগ জিতেছেন। জাতীয় দলের নিয়মিত মিডিও অ্যান্টনি পেরিরা।
গোয়া থেকে এ দিন রাতে ফোনে জাতীয় দলের নামী তারকা বলে দিলেন, “মোহনবাগান দেশের অন্যতম শক্তিশালী দল। তাই সেখানেই খেলতে যাচ্ছি। তা ছাড়া কলকাতায় খেলার নাকি আনন্দই আলাদা। রোয়িলসনও ওখানে সই করেছে। দেখি, ডেম্পোর মতো মোহনবাগানকেও আই লিগ জেতাতে পারি কি না। সোমবার মোহনবাগান কর্তারা গোয়ায় আসছেন আমাকে চুক্তিপত্রে সই করাতে।”
রহিম নবি-স্নেহাশিস চক্রবর্তীদের পাওয়া যাচ্ছে না বা রাখা হচ্ছে না। স্নেহাশিসের সঙ্গে বাগান কর্তাদের তিক্ততা চরমে। ফুটবল আইপিএল খেলার জন্য সই করে দিলেও নবি অবশ্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ফুটবল সচিব উত্তম সাহার সঙ্গে। এই অবস্থায় বাগান কর্তারা চাইছিলেন এমন এক জন ফুটবলার যিনি ডান-বাম, দুই উইংয়েই খেলতে পারেন। অ্যান্টনিকে সে কারণে নেওয়া হচ্ছে। ডেম্পোতে আর্মান্দো কোলাসো তাঁকে খেলাতেন ডান দিকে। জাতীয় দলে উইম কোভারম্যান্স খেলিয়েছেন বাঁ দিকে। গত সাত বছর ডেম্পোতে খেলা অ্যান্টনির সঙ্গে শুক্রবার রাতেই যোগাযোগ করেছিলেন মোহন কর্তারা। কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন রোয়িলসন। শনিবার পাকা কথা হয়ে গেল। কাল, সোমবার গোয়ায় গিয়ে অ্যান্টনিকে সই করিয়ে তাঁর হাতে অগ্রিম তুলে দেওয়া হবে।
ইস্টবেঙ্গল শুরুতে অ্যান্টনিকে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে অনেক দূর কথাবার্তা এগিয়েছিল। কিন্তু অ্যান্টনির আর্থিক দাবি শুনে শেষ পর্যন্ত লাল-হলুদ কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন ইসফাক আমেদকে রাখবেন। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইসফাক বাড়ি গিয়েছেন। শহরে ফিরলেই চুক্তি করা হবে বলে ঠিক আছে। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য এ দিনই গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডলকে দু’বছরের জন্য সই করাল।
অ্যান্টনিকে সই করানোর পাশাপাশি লালকমল ভৌমিক, লেস্টার ফার্নান্ডেজ-সহ প্রয়াগ ইউনাইটেডের কয়েক জন ফুটবলারকে নেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে মোহনবাগান। তবে এখনও পুরো আশার আলো দেখেনি। এ দিন আবার মোহনবাগানের বাতিল গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য তাঁর পুরনো ক্লাব চার্চিল ব্রাদার্সে এক বছরের চুক্তিতে সই করলেন।
|