বিকল্প নীতির ভিত্তিতেই জোট চান বুদ্ধদেব
গামী নির্বাচনে কংগ্রেসকে পরাজিত করতে এবং বিজেপি-কে সরকার গঠন থেকে দূরে রাখতে হলে বিকল্প নীতির ভিত্তিতেই বিভিন্ন দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, এ ভাবে বিকল্প গঠনের কাজটা কঠিন। কিন্তু করতে পারলে মানুষ তা সমর্থন করবেন।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে ‘ফেডেরাল ফ্রন্ট’ গড়ার ডাক দেওয়ার পরেই সিপিএম-সিপিআই মাঠে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই জেডিইউ নেতা শরদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিআই নেতা এ বি বর্ধন বৈঠক করেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহের সঙ্গে। তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা করা হবে না এ কথা বার বার সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব বলার পরেও মানুষের কাছে কংগ্রেস এবং বিজেপি-র বিরোধী শক্তি তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন বাম নেতারা।
ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে এসএফআইয়ের সভায় বুদ্ধদেব। —নিজস্ব চিত্র
ইয়েচুরি-বর্ধনদের চেষ্টায় যে তাঁর সমথর্ন রয়েছে, তা বোঝাতেই এ দিন বুদ্ধবাবু এসএফআইয়ের সভাকে ব্যবহার করেন। কংগ্রেস ও বিজেপির নীতিকে আক্রমণ করে বুদ্ধবাবু বলেন, “এদের ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশাকে নিয়ে বিকল্প তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য দিয়ে এ ভাবে বিকল্প তৈরি করা যায় না। ব্যক্তি দিয়েও বিকল্প আসে না। বিকল্প কর্মসূচির ভিত্তিতেই বিকল্প গড়ে ওঠে।”
বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করতে বুদ্ধবাবু বলেন, “সর্বভারতীয় কর্মসূচি কী হবে? আদিবাসী, গরিবদের জমির ব্যাপারে কে কী বলছে, কর্মসংস্থানের ব্যাপারে কে কী বলছে, লাভজনক রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার কী হবে, এ সব প্রশ্নের ভিত্তিতে বিকল্প গড়ে উঠতে পারে।” বুদ্ধবাবু জানান, বিকল্প গড়তে হলে সেই সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতি কী হবে, বৈদেশিক নীতি কী হবে, সার্বিক রেশন ব্যবস্থার কী হবে এ সব ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, “বিকল্প কর্মসূচি তৈরি হলে মানুষ তা সমর্থন করবেন। তার চেষ্টা চলছে। কাজটা কঠিন।” তাঁর মতে, যেখানে এত জাত-পাতের অঙ্কে দেশ ভাগ হয়ে রয়েছে, সেখানে সব কিছু ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কর্মসূচি নিয়ে বিকল্প গড়ার চেষ্টা কঠিন কাজ। কিন্তু করতে পারলে মানুষ তা সমর্থন করবেন।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব দাবি করেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সঙ্গেই লোকসভা নির্বাচন করবে কংগ্রেস। বিজেপিকে ঠেকাতে বামেরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, তা জানিয়ে গৌতমবাবু বলেন, “৪০-৪৫টি আসন নিয়ে দিল্লি যেতে পারলে বামেদের সরিয়ে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না।” বস্তুত, পরবর্তী সরকার গঠনে যাতে বামেরা অপ্রাসঙ্গিক না হয়ে পড়ে, সিপিএম এখন সেই চেষ্টা করছে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.