|
|
|
|
মন্ত্রিসভায় রদবদলের ইঙ্গিত দিয়ে ইস্তফা দিলেন মাকেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী সপ্তাহের শুরুতেই হয়তো ইউপিএ-সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে। সঙ্গে কংগ্রেসের সংগঠনেও রদবদল হবে। সেই সম্ভাবনা উসকে দিয়েই আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দিল্লির নেতা অজয় মাকেন। আবাসন ও শহর দারিদ্র দূরীকরণ মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন তিনি। মাকেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বক্তব্য, দলের কাজ করার জন্যই তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন।
কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাহুল গাঁধীর পরিকল্পনা ছিল, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনে একটি কার্যকরী দল গড়ে তোলা। কিন্তু এখনও যেটুকু সময় বাকি রয়েছে, তার মধ্যে সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রূপায়ণেরও প্রয়োজন। কাকে সরকারে রাখা হবে, কাকে দলের কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। প্রধানমন্ত্রী যেমন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করে নিয়ে আসতে চান। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের একাংশের আপত্তি। এই সব কারণেই দেরি হচ্ছিল। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব আর দেরি করতে চান না। ক’দিন আগেই জাপান সফর সেরে ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছিলেন, মন্ত্রিসভার শূন্য পদগুলি শীঘ্রই পূরণ করা হবে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও সনিয়া গাঁধীর দীর্ঘ বৈঠক হয়। তার আগে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন মনমোহন। সেখানেই রদবদলের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, মাকেনের পাশাপাশি আরও তিন মন্ত্রী সংগঠনের কাজে যোগ দিতে চান। যাঁদের মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে সংগঠনে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তাঁদের মন্ত্রকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল বা সিদ্ধান্ত ঝুলে রয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। আইপিএল বিতর্কের পর রাজীব শুক্লকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু দলের অনেকের বক্তব্য, রাজীব শুক্লর সঙ্গে সব দলের সম্পর্ক ভাল। এখন লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁকে আরও বেশি দরকার হতে পারে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা প্রশমন করতে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মাকেনকে কংগ্রেসের বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরা হতে পারে। তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসেরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আর একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট বিল
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করিয়ে আবাসন সংস্থাগুলির ক্ষোভের মুখে পড়েন মাকেন। তাঁকে সরাতে তাই চাপ রয়েছে। এর আগে ক্রীড়া আইন সংক্রান্ত বিল পাশ করানো নিয়ে নানা মহলের ক্ষোভের জেরে তাঁকে আবাসন মন্ত্রকে সরানো হয়। তাই মাকেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে আসলে কংগ্রেস নেতৃত্ব এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন বলেও মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|