খসড়া ইস্তাহার
সারদা-অস্ত্রে কংগ্রেসের নিশানা মমতা
কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ও সারদা-কাণ্ডকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মূল হাতিয়ার করছে কংগ্রেস। তাদের পঞ্চায়েত ভোটের খসড়া ইস্তাহারেও তাই প্রাধান্য পেয়েছে এই দুই অভিযোগ। সারদা-কাণ্ডে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নাম জড়িয়ে খসড়ায় লেখা হয়েছে, “সারদা কেলেঙ্কারিতে শাসক দলের নেতারা জড়িয়ে আছেন। সারদাকে ছবি বিক্রির টাকায় দল চালাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।”
জোট ভাঙার পর থেকেই কংগ্রেস লাগাতার বলে যাচ্ছে, গ্রামবাসীদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য ব্যর্থ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খসড়া নির্বাচনী ইস্তাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পটি ঘিরে জঘন্য দলবাজি চলছে। শাসক দলের স্লোগানই হল, তৃণমূল না করলে ওই প্রকল্পে কাজ মিলবে না। এর ফলেই “পশ্চিমবঙ্গ গড়ে মাত্র ৩৪ দিনের কাজ দিতে পেরেছে গ্রামের গরিব মানুষদের। তা-ও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ পেয়েছে শাসক দলের তাঁবেদাররা।” প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে এ রাজ্যের জন্য কেন্দ্র ৩ হাজার ৫২২ কোটি টাকা দিয়েছিল। রাজ্য মাত্র ১৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পেরেছে। ইন্দিরা আবাস যোজনারও অনেক টাকা দিল্লিতে ফেরত গিয়েছে বলে খসড়া ইস্তাহারে বলা হয়েছে।
রাজ্যে গত দু’বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা অবনতি হয়েছে, ঘটনা ধরে ধরে তা-ও তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও পুলিশের গুলিতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির খতিয়ান, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে গ্রামে গ্রামে শাসক দলের সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ। এ রাজ্য নারী নিগ্রহে দেশের মধ্যে প্রথম এবং ধর্ষণে দু’নম্বরে থাকার জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। ধর্ষণ বা শিক্ষায়তনে গোলমালে তাঁর দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও প্রতি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে সেগুলিকে লঘু এবং ছোট ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেছেন, তার সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের উপরে তৃণমূলের আক্রমণকেও হাতিয়ার করে খসড়া ইস্তাহারে কংগ্রেসের কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য প্রশাসন এই অভাবনীয় সাফল্যের জন্য অবশ্যই প্রশংসা দাবি করতে পারেন!”
রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন উৎসবে সরকারের এলাহি খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। খসড়ায় তারা বলেছে, “দু’বছরে ঋ
ণের বোঝা আরও বেড়েছে। চলছে লাগামছাড়া খরচ ও অপব্যয়ও। দেউলিয়া অর্থনীতির পথে চলেছে রাজ্য।” দু’বছরে শিল্প-জমি-কৃষি ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরি করতে না পারার জন্যও সমালোচনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের।
কেন্দ্রের প্রকল্পকে নিজেদের বলে চালানোর অভিযোগটিও ঠাঁই পেয়েছে খসড়ায়। বস্তুত ভোট প্রচারে এ প্রসঙ্গ বড় আকারে তুলতে চায় কংগ্রেস। জেলা-সফরে গিয়ে মমতা প্রায় সব সভায় তাঁর সরকারের কাজের কথা বলতে গিয়ে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও শস্যবিমার কথা বলে থাকেন। কিন্তু এটি কেন্দ্রের প্রকল্প। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ২০১২ সাল পর্যন্ত ৫৯ লক্ষ ২৪ হাজার ১৮৪টি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড রাজ্যের কৃষকদের দিয়েছে বলে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে।

উদ্ধার ৫৩ লক্ষ
রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের টাকা তছরুপের ঘটনায় ৫৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় সেলিমপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অতীন্দ্রচন্দ্র সাহা সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার তাঁরই একটি ফ্ল্যাটে ওই টাকা মেলে। ফিক্সড ডিপোজিটের টোপ দিয়ে ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় সাসপেন্ড থাকা এক আমলা-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.