কসবা উত্তরণের প্রযোজনা ‘স্বপ্নকল্পদ্রুম’। টানটান গল্পে সমৃদ্ধ নাচ, গান, অভিনয়। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সুকুমারের এক অদ্ভুত অসুখ শুরু হয়েছে। স্বপ্ন দেখা। এক বার সে স্বপ্নের মধ্যে ঢুকে পড়লে আর বাস্তবে ফিরতে পারে না। পৌঁছে যায় অন্য এক স্বপ্নে। মাও তে দং-এর কথায় গণ আন্দোলনে ঝাঁপাতে গিয়ে সে তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপাতে যায়। তার পর পরপর সে পৌঁছে যায় দুর্ভিক্ষপীড়িত গামছাখোল গ্রাম বটকৃষ্ণ থেকে বিদ্যাসাগর, সিরাজদ্দৌল্লা থেকে আলাদিনের প্রদীপের জিনের কাছে। রংবেরং-এর চরিত্র সব। বাস্তবে সুকুমার এত দিন যা যা করতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি, স্বপ্নে একে একে ঘটতে থাকে সেই সব ঘটনা। তার মধ্য দিয়েই তার উত্তরণ ঘটে এক জন সাধারণ ছাপোষা মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষে। বাদল দাসের আলো, বিশ্বজিৎ দাসের আবহ। মঞ্চ পরিকল্পনায় শুভানন্দ। নাটকটির নাটককার শুভব্রত ঘোষ, পরিচালক সুজিত ঘোষ। নৃত্য পরিকল্পনা সুস্মিতা চক্রবর্তী। সুকুমারের চরিত্রাভিনেতা প্রদীপ মণ্ডল অনায়াস দক্ষতায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের আবিষ্ট করে রাখেন। অন্যান্য চরিত্রে শক্তিব্রত, কমল, শম্পা, অমৃতা, সৌরভ, সুজিত, শুভব্রত যথাযথ।
|
শান্তিনিকেতনী ঘরানায় ও রাবীন্দ্রিক বৈশিষ্ট্য পূর্ণমাত্রায় রক্ষা করে চর্চিত কণ্ঠে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গান শুনিয়ে নজর কাড়লেন বাসবী বাগচি। শুরুতেই শোনালেন ‘জগৎ জুড়ে উদার সুরে’। বিশ্বজগৎকে রবীন্দ্রনাথ যে আনন্দের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন তাতে মানব সমাজের বন্ধন হবে দৃঢ় ও সেখানে সুস্থ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি রচিত হবে যার প্রয়োজন বর্তমান পৃথিবীতে খুব বেশি। তাঁর নির্বাচনের অপর গানটি ছিল ‘এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে’। ইদানীং বাসবী ক্রমশ ঋদ্ধ হয়ে বিভিন্ন মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করে তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছেন। শিল্পীর সার্থকতা সেখানেই।
|
সম্প্রতি শিল্পী তন্ময় মুখোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নিলেন। এ দিন প্রত্যাশা অনুযায়ী তাঁর চর্চিত কণ্ঠে তিনটি গান এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল। শিল্পীর প্রথম নিবেদন ‘আমি হেথায় থাকি শুধু’ গানটি শিল্পীর নিখুঁত উচ্চারণ এবং গায়কীতে হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠেছিল। শিল্পীর দ্বিতীয় নিবেদন ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ বহু দিন শ্রোতাদের মনে থাকবে। শ্রোতাদের অনুরোধে শিল্পীকে ‘এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’ গাইতে হয়। গানটি শিল্পীর দরাজ পরিশীলিত কণ্ঠে এবং গায়নে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। |