ডাকঘর

মুর্শিদাবাদের কাঁথাশিল্প
চারু ও কারুশিল্পে বৈচিত্রময় মুর্শিদাবাদ জেলার কাঁথা শিল্পের পরম্পরা আজও অব্যাহত। মুসলিম ঘরাণার কিছু নিজস্বতা আছে, যার একটি দৃষ্টান্ত ওই কাঁথাশিল্প। কাঁথাশিল্প পুরোপুরি মহিলা নির্ভর। বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীরাই ওই কারুশিল্পে পারদর্শী। কাঁথাশিল্পের প্রথাগত কোনও বিদ্যা নেই। বাড়ির বয়স্ক মহিলাদের কাছ থেকে ছোটরা ওই হস্তশিল্পের তালিম নেন। এ ভাবেই চলে আসছে ওই শিল্পের পরম্পরা। কবি জসিমুদ্দিনের কবিতায় উল্লিখিত নকশি কাঁথার কথা আজও আমাদের নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করে। কাঁথা সেলাই-এর নেপথ্যে জড়িয়ে রয়েছে অনেক লোকসংস্কার। যেমন অমঙ্গলের আশঙ্কায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কাঁথা সেলাই করতে দেওয়া হয় না। সূর্যাস্তের পর কাঁথা সেলাই করলে দারিদ্র আহ্বান করা হয় বলে মুসলিম মহিলাদের বিশ্বাস। ফলে সন্ধ্যার প্রাক মুহূর্তে কাঁথা সেলাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। জুম্মাবার, অর্থাত্‌ শুক্রবার কাঁথা সেলাই-এর শুভারম্ভ হয়। কাঁথার আবার প্রকার ভেদ রয়েছে। যেমন লেপকাঁথা, সুজনিকাঁথা, পিরের মাজারের ঢাকনা হিসাবে ব্যবহৃত মাজারকাঁথা, বাক্সের বিকল্প হিসাবে বস্তানিকাঁথা, খাবারের পাত্রের ঢাকনা হিসাবে বর্তনকাঁথা। অতিথিদের যে কাঁথার উপর খাবার সাজানো হয় তা দস্তরখানা, কোরাণ শরিফ রাখার কাঁথাটির নাম গিলাফ। আরও এক ধরনের কাঁথা রয়েছে তার নাম পর্দাকাঁথা। কাঁথাগুলিতে সুতো দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় লতাপাতা ও জ্যামিতিক নকশা। বর্তমানে কাঁথা সেলাই-এর সর্বব্যাপী চহিদা তৈরি হয়েছে। রাজ্য কুটির শিল্প দফতর কাঁথাশিল্প ও শিল্পীদের উত্‌সাহ দিলে মুর্শিদাবাদের গ্রামগঞ্জের মহিলাদের মতো অনেক মহিলার কর্মসংস্থানের দ্বার খুলে যাবে।


বাসের সময়সূচী
বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ ভায়া সাগরদিঘি যাওয়ার শেষ বাসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। দিনের শেষের ওই বাসটি বহরমপুর থেকে আগে ছাড়া হত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে। এখন ছাড়া হচ্ছে ৬টা ২৫ মিনিটে। নিত্যযাত্রীদের বাড়ি ফিরতে সমস্যা হচ্ছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াতের কোনও বাস রতনপুর মোড়ে সন্ধ্যা ৬টার পর থামে না। ফলে সন্ধ্যার পর বহরমপুর থেকে সাগরদিঘি ফেরার পথ পুরোপুরি বন্ধ। তাই বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন ও সরকারি প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে অনুরোধ, সাগরদিঘিগামী শেষ বাসটি ছাড়ার আগের সময় বহাল রাখা হোক।
জলের দাবি
জঙ্গিপুর পুরসভা রঘুনাথগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের ট্রাঙ্কের ব্যবস্থা করেছে। ভাল কথা। কিন্তু ওই শহরেরই কয়েকটি জনবহুল জায়গায় যেমন ফুলতলা মোড় ও হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জলের ওই ব্যবস্থাটি করা হয়নি। পুরকর্র্তাদের ওই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।


পথের দাবি
সমসেরগঞ্জ থানা এলাকার প্রাচীন একটি গ্রামের নাম বাবুপুর। ওই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা বিড়ি শ্রমিক ও কৃষিজীবী। ওই দিনহীন মানুষদের গ্রামের রাস্তাটির অবস্থা শোচনীয়। বিশেষ করে উমেশপাড়া থেকে জোতকাশী ও দেবীদাসপুর যাওয়ার রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষা আসন্ন। ফলে আমরা ওই গ্রামের বাসিন্দারা বর্ষার সময়ের রাস্তার আরও বেহাল অবস্থার কথা ভেবে রীতিমতো আতঙ্কিত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.