উইলিয়ামের শরীরে ভারতীয় জিন
ডায়ানা-পুত্রের দেহে লুকিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসের সপ্তপদী! ভারতীয় ডিএনএ ব্রিটিশ সিংহাসনের ভবিষ্যৎ দাবিদার উইলিয়ামের শরীরে!
ডিউক অফ কেমব্রিজের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে লালা-মাখানো নমুনা এসে পৌঁছেছিল ‘ব্রিটেনস ডিএনএ’ নামে একটি সংস্থার হাতে। তারাই জানাল, ব্রিটিশ রাজকুমারের শরীরে রয়েছে ভারতীয় ডিএনএ। আর তাদের এই দাবিই প্রকাশ্যে আনল ব্রিটিশ শাসিত ভারতের এক বিতর্কিত ইতিহাস। ’৬১-তে অজয় করের ছবি ‘সপ্তপদী’। রিনা ব্রাউনকে ফিরিয়ে দিয়েছিল তাঁর ব্রিটিশ প্রেমিক। আর তার পরেই কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক হয় রিনার। ক্রমে জানাজানি হয়, রিনা আসলে তাঁর বাবার অবৈধ প্রেমের সন্তান। বাড়ির এক কোণে পড়ে থাকা কাজের মহিলাটিই তাঁর জন্মদাত্রী মা। উইলিয়ামের হাত ধরে প্রকাশ্যে আসা ‘ভারতীয় জিন’-এর ইতিহাসে বড়ই মিল ‘সপ্তপদী’র সেই কাহিনির। গবেষকরাই জানালেন সে কথা। আর যে এই ভারতীয় জিনের বাহক, তিনি উইলিয়ামের দিদিমার দিদিমা, তাঁর দিদিমা, তাঁরও দিদিমা। অর্থাৎ কি না রাজপরিবারে ভারতীয় জিন প্রবেশে সূত্রধর ডায়ানা।
১৭৮৮-১৮২০ সালের কথা। রাজকুমার উইলিয়ামের প্রপিতামহ থিওডোর ফোর্বস ব্যবসাসূত্রে তখন গুজরাতের সুরাতে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন তিনি। থিওডোরের বাড়িতে কাজের মহিলা ছিলেন এলিজা কিউয়ার্ক। এই এলিজাই ছিলেন থিওডোরের মেয়ে ক্যাথরিনের মা। এলিজার থেকেই ক্যাথরিন হয়ে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ অক্ষত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে উত্তরসূরিদের দেহে। আর চলে এসেছিল ডায়ানার শরীরেও। তার পর উইলিয়াম এবং হ্যারির দেহেও।
এলিজা যদিও নিজেকে মার্কিন বলে দাবি করতেন। তাঁর নামটাও তেমনই বলে। থিওডোরকে লেখা এলিজার চিঠির ভাষাতেও ছিল মার্কিন ধাঁচ। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, নাম-ভাষার টান সবটাই পাওয়া এলিজার বাবার থেকে। তিনি হয়তো মার্কিন ছিলেন। ‘ব্রিটেনস ডিএনএ’ সংস্থার দাবি, “আমাদের কাছে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তাতে পরিষ্কার এলিজার মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত।” তারা আরও জানিয়েছে, “উইলিয়াম-হ্যারি, দুই ভাইয়ের শরীরেই ওই ডিএনএ থাকলেও, তাদের সন্তানের শরীরে তা প্রবেশ করবে না। কারণ মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধুমাত্র মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে যায়। বাবার কোনও ভূমিকা নেই।”
‘ব্রিটেনস-ডিএনএ’র মুখ্য গবেষক এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন-বিশেষজ্ঞ জিম উইলসন নিজে হাতে পরীক্ষাটি করেছেন। বললেন, উইলিয়াম-হ্যারির শরীরে থাকা ওই মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-টি বিরল। এত দিনে ১৪ জনের দেহে ওই জিন খুঁজে পেয়েছেন তিনি। এঁদের মধ্যে ১৩ জনই ভারতীয়। এক জন ছিলেন নেপালি।
তবে এত দিন যা গোপন ছিল, থিওডোর হয়তো তা জানতেন। তাই হয়তো মাত্র ছ’বছর বয়সে মায়ের থেকে দূরে সরিয়ে ক্যাথরিনকে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এলিজাকে দিয়েছিলেন নির্বাসন। থিওডোরকে লেখা এলিজার একটা চিঠি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। সন্তানের বাবাকে দেখতে চেয়ে বার বার অনুরোধ করেছিলেন এলিজা। যদিও সে সম্মানটুকুও দেখাননি থিওডোর। ১৮২০ সালে জাহাজে করে ব্রিটেনে ফেরার সময় মারা যান তিনি।
উইলে লিখে যান, এলিজা বাড়ির ‘কাজের মহিলা’ এবং তাঁর মেয়ে ক্যাথরিনের ‘মা’।
উইলিয়ামের ভারতীয় যোগ আরও জোরদার করেছেন, ডায়ানার মামাতুতো-মাসতুতো ভাইবোনেরা। তাঁদের শরীরেও বিরল জিনটি রয়েছে। ডায়ানার মাসি মেরি রোচ বললেন, “এত দিন মনে করতাম শরীরে মার্কিন রক্ত রয়েছে। ভারতীয় জিনও রয়েছে শুনে দারুণ লাগছে।” খুব শিগগিরি ভারতে আসার কথা উইলিয়ামের। তিনি কী বলেন, এখন সেটাই দেখার।

চুদুরবুদুর নিয়ে মীমাংসা হল না ঢাকার সংসদে
চুদুরবুদুর শ্লীল না অশ্লীল, এখনও মীমাংসা করতে পারল না বাংলাদেশের সংসদ। শব্দটি নিয়ে অধিবেশন লাটে ওঠার উপক্রম হওয়ায় স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী রবিবার জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা করে দেখা হবে, চুদুরবুদুর অশ্লীল হলে কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিএনপি সাংসদ আশিকা আশরফি পাপিয়া বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, “কলকাতার আনন্দবাজার পড়ুন। দেখুন ওই শব্দের অর্থ সবিস্তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিশিষ্ট ভাষাবিদরা জানিয়েছেন, চুদুরবুদুর আদৌ অশালীন ভাষা নয়।” পাপিয়া বলেন, তাঁর সতীর্থ রেহানা আখতার ফেনির আঞ্চলিক ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে যে আক্রমণ শানিয়েছেন, কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেওয়া অযৌক্তিক। স্পিকারকে সে সময়ে মুচকি হাসতে দেখা যায়। শাসক পক্ষের প্রবল দাবির পরেও শব্দটি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ না পড়ায় চুদুরবুদুর শব্দটি বিএনপি মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বুধবার ঢাকায় বিএনপি-র জনসভায় একাধিক নেতা তাঁদের বক্তৃতায় শব্দটি ব্যবহার করেন।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.