একদা ‘লাল দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত কোচবিহারের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির শতাধিক আসনে বুধবার পর্যন্ত প্রার্থী দিতে পারেনি বামফ্রন্ট। বামেদের অভিযোগ, তৃণমূলের বাধায় মূলত তুফানগঞ্জের ২টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় প্রার্থী দেওয়া যায়নি। তবে এই জেলার তুফানগঞ্জে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মনোনয়ন পেশ করা নিয়ে বুধবার পুলিশ-জনতা সংঘর্ষও হল তুফানগঞ্জে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তবে বিকেলে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো নির্দেশে জানানো হয়, বৃহস্পতিবারও সমস্ত রাজনৈতিক দল তুফানগঞ্জ মহকুমায় মনোনয়ন জমা দিতে পারবে।” প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনেই কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেরা প্রার্থী দিতে পেরেছে। বিজেপি দিতে পেরেছে ২২টি আসনে। বিজেপিরও অভিযোগ, তৃণমূলের বাধায় অনেক জায়গায় প্রার্থী দেওয়া যায়নি। ৩৩৩টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে বামেরা ৩২০টি আসনে দিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ের পুরো হিসেব রাত পর্যন্ত দিতে পারেনি প্রশাসন। তবে অন্তত ৭০টি আসনে বামেরা অভিযোগ করেছেন, বাধার মুখে তাঁরা প্রার্থী দিতে পারেননি।
মালদহে জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেরা সব ক’টিতেই প্রার্থী দিতে পেরেছে। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি শিবেন্দুশেখর রায় জানান, সংরক্ষণ জনিত সমস্যার জন্য তাঁরা সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি।
দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা পরিষদের মোট আসন ১৭। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি সব ক’টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে আলাদা ভাবে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাম ঐক্যে কাঁটা হয়ে রইল ফরওয়ার্ড ব্লক। ফব-র তরফে গ্রামপঞ্চায়েতে ৪৫টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ১০টি এবং জেলা পরিষদের ৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ফব-র জেলা সম্পাদক স্বপন তরফদার বলেন, “বামফ্রন্টগত ভাবে আলোচনার মাধ্যমে দাবি মেনে নেওয়া হলে প্রার্থী প্রত্যাহারের রাস্তা খোলা রয়েছে।” জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মানবেশ চৌধুরী বলেন, “যারা ফব-র নামে প্রার্থী দিয়েছেন, তারা বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত নন।” উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের আসন ২৬টি। সেখানেও কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেরা সব আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছে।
|