দিনহাটায় সংঘর্ষে জখম ২৫ ছাত্র
সএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে দুইপক্ষের ২৫ জন জখম হন। এর মধ্যে ১৫ জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার দুপুরে দিনহাটা কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। ভর্তির সময় কলেজের কর্তৃত্ব নিয়ে উভয় পক্ষের জমায়েতের অভিযোগ ওঠে। লাঠিসোটা, পাথর নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের সামনে ফের দু’পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এর জেরে সিপিএমের দিনহাটা জোনাল কমিটির দফতরে ভাঙচুর করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “গোলমালের ঘটনা শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।” দিনহাটার মহকুমাশাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “ভর্তিকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।” পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন থেকে দিনহাটা কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য ফর্ম বিলির কাজ শুরু হয়। ওই ফর্ম নিতে আসা ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যের অছিলায় সাংগঠনিক প্রচার চালানোর কর্তৃত্ব নিয়েই দুই পক্ষের বিরোধ শুরু হয় বলে অভিযোগ। তার পরে তা দুই দফায় সংঘর্ষের আকার নেয়। পুলিশ কর্মীরা এসে লাঠিচার্জ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সিপিএমের দিনহাটা জোনাল কমিটি দফতরে ভাঙচুর। বুধবারের নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, “ফর্ম বিলির সময় কোনও সংগঠনের নেতা কর্মীদের কলেজে থাকার কথা নয়। তাও এসএফআইয়ের শতাধিক ছেলে ভিড় করে। আমাদের সমর্থক কয়েক জন প্রতিবাদ করতেই হামলা চালানো হয়।” তিনি জানান, আমাদের কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও হামলা হয়। ১৫ জন জখম হন। ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের কেউ সিপিএম অফিসে ভাঙচুর করেনি।
পাল্টা অভিযোগ এসএফআইয়ের। সংগঠনের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি গোস্বামী এ দিন বলেন, “আমাদের সদস্য ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা নিয়ম মেনে কলেজে যান। য় বহিরাগতদের নিয়ে টিএমসিপি হামলা চালায়। হাসপাতালে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হন। তাঁরা দৌড়ে বেশ কয়েক জন লাগোয়া সিপিএমের দফতরে আশ্রয় নিলে সেখানে হামলা হয়। দফতরটি ভাঙচুর করা হয়। আমাদের ১০ জন জখম হন।” দুই পক্ষের গোলমালের জেরে ফর্ম নিতে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনলাইনে ফর্মবিলির প্রক্রিয়া চালু থাকলে এমন গোলমাল এড়ানো যেত বলে তাঁরা মনে করছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাধন কর বলেছেন, “অনলাইন ভর্তি চালুর জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তা চালু করা যায়নি।” অধ্যক্ষ জানান, ফর্ম বিলির সময় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য কারও থাকার কথা নয়। এ দিন কী হয়েছিল তা দেখা হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.