শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার ও তাদের লোকজনদের জন্য ভাড়া করা একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ফাইল এবং নথি বাজেয়াপ্ত করল। বুধবার শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগর এবং হাকিমপাড়ার রাসবিহারী সরণিতে দুটি ফ্ল্যাটে এ দিন হানা দেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর অফিস কলকাতার বিল্পবী রাসবিহারী বসু রোডে। সম্প্রতি পুলিশের একটি দল কলকাতায় গিয়ে অফিস তল্লাশি করেছে। তবে সেখানে নথি মেলেনি। ওই সংস্থার কর্ণধার অভিযুক্ত অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও গিয়েছিল পুলিশ। সেখানে কারও দেখা মেলেনি। পুলিশ জানায় অজিতবাবু পলাতক। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন বলেন, “তদন্তে যে সব তথ্য জানা যাচ্ছে সেই মতো বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে।’’
হাকিমপাড়ার রাসবিহারী সরণির ফ্ল্যাটটি বছর খানেক ধরে ভাড়া করেন অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির মালিক রিতা রায় কলকাতায় থাকেন। তার কাছ থেকেই ফ্ল্যাটটি ভাড়া করেন অজিতবাবু। শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগরে শিলিগুড়ি পুরসভার সচিব কাজলকান্তি সাহার বাড়িতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন অজিতবাবু। সেখানে তাদের ঠিকাদারি সংস্থার প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত বাস্তুকাররা থাকতেন। দুটি জায়গা থেকেই মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরি (এসটিপি-২ এবং এসটিপি-৩) এবং শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্পের বেশ কিছু নকশা এবং নথি সম্বলিত ফাইল মিলেছে। স্থানীয় একটি ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে তিনি কাজ করাতেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ওই ঠিকাদার সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদারে জন্য সেখানকার এক কর্মীকে আটক করা হয়। সেখান থেকেই রবীন্দ্রনগর ও হাকিমপাড়ার এই দুটি ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে।
অন্য দিকে এসজেডিএ’র অভিযুক্ত বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকারের বাড়িতে সম্প্রতি পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ ও একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে। হাকিমপাড়ার শরৎ বসু রোডেও তার একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ির হদিস পেয়েছে পুলিশ। জয়রামন বলেন, “শরৎ বসু রোডে ওই বাস্তুকারের একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। আমরা তা দেখছি।”
|