মেয়র পারিষদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তারা কংগ্রেসের মেয়রের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। পুরসভা থেকে কোনও রকম সুযোগ সুবিধা নেবেন না বলে জানিয়েছেন। অথচ তার পর তিন মাস কেটে গেলেও পুরসভা থেকে কাউন্সিলরদের যে ‘ল্যাপটপ’ দেওয়া হয়েছিল তা অবশ্য ফেরৎ দেননি তৃণমূলের প্রাক্তন ওই মেয়র পারিষদরা। বুধবার বদলি হয়ে যাওয়া পুরসভার মুখ্য বাস্তকার তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপটি ফেরৎ দিয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেন তৃণমূলের প্রাক্তন ওই মেয়র পারিষদরা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ল্যাপটপ ফেরৎ দেননি? ওই অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীল শর্মা বলেন, “বিষয়টি আমার মনে ছিল না। শীঘ্রই ফেরৎ দিয়ে দেব।” এখনও ফেরৎ না দিলেও রঞ্জনবাবুর দাবি, খুবই নিম্নমানের ল্যাপটপ দিয়েছিল পুরসভা। তা দিয়ে ঠিক মতো কাজও করা যেত না।
কংগ্রেসের ‘সংখ্যালঘু’ বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, অনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় থেকে ঠান্ডা ঘরে বসে উপভোগ করছেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। পুরসভার গাড়িতে ঘুরে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করছেন। অথচ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত পুরসভা থেকে পাওয়া ল্যাপটপ তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদরা ফেরত দেননি কেন তা নিয়েই সরব হয়েছে কংগ্রেস। পুরসভা সূত্রে খবর, কাজের সুবিধের জন্য মেয়র পারিষদ, বিরোধী দলনেতা-সহ মুখ্য বাস্তকারকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৩ মার্চ চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিনেই উভয় দলের মেয়র পারিষদদের ক্ষমতা কেড়ে নেন মেয়র। পরে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে মেয়র পারিষদ ঠিক করা হয়। মেয়র পারিষদের পদ না থাকায় তৃণমূলের ওই কাউন্সিলরদের ল্যাপটপের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। সেগুলি বর্তমানে যাঁরা ওই পদে রয়েছেন তাদেরই পাওয়ার কথা।
অথচ তৃণমূলের ওই কাউন্সিলররা ল্যাপটপগুলি এখন ফেরৎ না দেওয়ায় পুরসভার কর্মী, আধিকারিদের একাংশের মধ্যেও গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে এ দিন বদলি হয়ে যাওয়া মুখ্য বাস্তুকার তাঁর ল্যাপটপটি ফেরৎ দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে পুরসভায় ভিতরে বাইরে।
হোটেলে আগুন। শিলিগুড়ির হিমাচল বিহারে সেন কমিশনের অফিস চত্বরে থাকা অস্থায়ী হোটেলে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগে। বুধবার দুপুরে। মাটিগাড়া দমকল কেন্দ্র থেকে ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। |