একের পর এক নারী-নিগ্রহের ঘটনা-সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরে শেষ পর্যন্ত বারাসত থানাকে ভেঙে চারটি থানা তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে বুধবার জানা যায়, বারাসত থানা ভেঙে মধ্যমগ্রাম, শাসন এবং বারাসত রেললাইনের দু’দিকে দু’টি পৃথক থানা তৈরি করা হবে। এ দিন তার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব থানা তৈরির কাজ শেষ হবে।
বারাসত থানা এলাকায় ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের বাস। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ এই থানার আওতায় রয়েছে ২৮৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা। রাজ্য পুলিশের একাংশের বক্তব্য, কলকাতা পুলিশের ২৪৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য আছে ২৬ হাজারেরও বেশি পুলিশ। কিন্তু বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকার নিরাপত্তা দেখার জন্য পুলিশ মাত্র ৩৫০! এই স্বল্প সংখ্যক পুলিশ দিয়ে আধা-শহর, আধা-গ্রাম ঘেরা বারাসতের বিস্তীর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানো সম্ভব নয় বলে স্বরাষ্ট্র দফতরকে দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে পুলিশের একাংশ।
মহাকরণের খবর, সরকার বারাসত এলাকায় নতুন থানা তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আগেই। ফাইলও তৈরি হয়। কিন্তু সেই ফাইল নড়াচড়া করেনি। কামদুনির ঘটনার পরে এ বার নতুন চারটি থানা করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এ দিন মহাকরণে বলেন, “বারাসতের ঘটনায় এফআইআরে যাদের নাম আছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার তাদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর। এর জন্য যা যা করণীয়, করা হবে।” করণীয় কী কী? মুখ্যসচিব বলেন, “পুলিশ যথাসময়ে চার্জশিট দেবে। মামলার বিচার হবে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এবং অভিযুক্তেরা জেল-হাজতে থাকাকালীনই বিচার শুরু করা হবে। আদালতের কাছে সরকার উপযুক্ত শাস্তি চাইবে। সেটা ফাঁসিও হতে পারে।” বারাসতেই বারবার এমন ঘটনা কেন? ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বারবার ঘটছে— এটি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য হতে পারে। আমরা মনে করছি না, পরিস্থিতি এতটা খারাপ।”
|